মিয়ানমারে সামরিক আগ্রাসনে ৮২ জন নিহত


মিয়ানমারে বিতর্কিত জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের গড়ে তোলা ব্যারিকেড ভাঙতে গিয়ে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় বাগো শহরে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে সেনাবাহিনী। পর্যবেক্ষক সংস্থা অ্যাসিস্টেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিকাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, শুক্রবার (৯ এপ্রিল) ও পরদিন শনিবার (১১ এপ্রিল) অন্তত ৮২ বিক্ষোভকারীকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
এএপিপি জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর এখন পর্যন্ত কয়েক ডজন শিশুসহ সাত শতাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। আটক করে রাখা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। তবে জান্তা সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন এ সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, তারা ২৪৮ বেসামরিক এবং ১০ পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনা রেকর্ড করেছে।
এবারের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করেছেন বিক্ষোভকারীদের একজন সংগঠক ইয়ে হিট। শনিবার জাতিসংঘ জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার এবং আহতদের চিকিৎসা না দেওয়ার বিষয়ে নজর রাখছে। অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ এবং আহতদের জন্য মেডিক্যাল টিমগুলোকে কাজের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করতে বাগো শহরের রাস্তায় ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়। প্রায় আড়াই লাখ মানুষের শহরটিতে শুক্রবার সন্ধ্যা নামার আগেই অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাগো শহরের এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের মানুষেরা বুঝতে পেরেছিল তারা (নিরাপত্তা বাহিনী) আসতে পারে। আর এজন্য রাতভর অপেক্ষা ছিল। সেনাসদস্যরা ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আমরা মর্টার শেলও পেয়েছি। মেশিনগান দিয়েও প্রচুর গুলি করা হয়েছে। তাজা গুলি ছাড়াও সেনাসদস্যরা গ্রেনেড লাঞ্চার ব্যবহার করেছে।
সূত্র : এক্সিওস, ডিডাব্লিউ
টিএইচএ/
