আমতলীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি


আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে পবিত্র মাহে রমজান। আর রমজানকে সামনে রেখে বরগুনার আমতলীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আয়ের সাথে ব্যয়ের মিল না থাকা নিম্ন আয়ের মানুষেরা। রমজান শুরু হওয়ার আগেই পণ্যের দাম হুহু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে পণ্য সরবরাহ কম বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। আর কোন অজুহাত মানতে নারাজ ক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি রশুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায় যা একদিন আগে বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকায়, প্রতি কেজি আলুর দাম ৪-৫টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২টাকায়। এছাড়া পাইকারি বাজারে ডাল, তেল, চাল, আদা, গরম মসলা ও শাকসব্জিসহ প্রায় সকল পণ্যের দাম কম-বেশি বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও ।
এছাড়াও মাংসের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। লকডাউনে সরবরাহ কম থাকায় দাম বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন মাছ ব্যবসায়ীরা ।
ক্রেতাদের অভিযোগ, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক লাভের আশায় লকডাউনের নামে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। ফলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে বাজার মনিটরিং করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে আমতলী উপজলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যাতে বৃদ্ধি পেতে না পারে সে জন্য বাজার মনিটরিং করা হবে।’
এম এ সাইদ খোকন / এমবি
