চাপ সামলাতে চিকিৎসকদের গণবদলি


করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মানুষের মৃত্যু দিনে দিনে বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে করোনায় প্রতিদিন মৃত্যু শতকের ওপরে। এই সংক্রমণের চাপ সামাল দিতে চিকিৎসকদের গণবদলি করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
চলতি মাসে দেশজুড়ে প্রতিদিন করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর হার শতাধিক ছাড়িয়েছে। সারাদেশে যাতে চিকিৎসা সেবায় ব্যাহত না হয় সেজন্য গত ৪ ও ৫ জুলাই এ দু’দিন প্রায় ৪৮টি আদেশে ১ হাজার ২৩৯ জন চিকিৎসককে আগামীকাল বুধবারের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সেখানে তারা কোভিড ইউনিটে দায়িত্ব পালন করবেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব জাকিয়া পারভিনের স্বাক্ষরে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোভিড-১৯ অতিমারী মোকাবিলা এবং জনসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের এই কর্মকর্তাদের ‘সংযুক্তিতে পদায়ন’ করা হল।
গত দুই দিনে ৪৮টি আদেশে বদলি চিকিৎসকদের বেশিরভাগ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মেডিকেল কলেজ থেকে একই মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে, একই জেলার জেনারেল হাসপাতাল বা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কিংবা পাশের কোনো জেলায় তাদের পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা মহামারির এসময়ে চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে প্রভাষক ও সহকারি অধ্যাপক পদে কর্মরত চিকিৎসকদের দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীদের চাপ বেড়েছে। এখন যেসব চিকিৎসক হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা চাপ সামাল দিতে পারছেন না। এ কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শেই তরুণ চিকিৎসকদের বদলি করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেইফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজের (এফডিএসআর) যুগ্ম-মহাসচিব ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বলেন, চিকিৎসকদের বদলি একটি সরকারি প্রক্রিয়া। তবে একজন শিক্ষক যিনি শুধু পড়ান, তাকে যদি বলা হয়- রোগী দেখেন, তাহলে আউটপুট পাওয়া যাবে না। বরং তার মধ্যে হতাশা কাজ করবে।
এমবি
