ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news
ইউএনও'র মহতী উদ্যোগ

কাউখালীতে ফোন করলেই অসুস্থ মানুষ পাবে গাড়ি

কাউখালীতে ফোন করলেই অসুস্থ মানুষ পাবে গাড়ি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা খাতুন রেখা একটি ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। করোনার এই মহামারীর লগ্নে করোনায় আক্রান্ত ও অসুস্থ মানুষের সেবায় চালু করা হয়েছে সেবা পরিবহন। যে পরিবহনের রয়েছে নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বর। যেখানে ফোন করলেই অসুস্থ ব্যাক্তি পাবেন যানবাহন সেবা। ফোন করলেই পৌছে যাচ্ছে যানবাহন রোগীর দ্বারপ্রান্তে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে সারাদেশের ন্যায় কাজ করছে কাউখালী উপজেলা প্রশাসন। সব কিছু বন্ধ থাকায় বেশি অসুবিধায় পড়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার অসুস্থ ও দরিদ্র রোগিরা। এই জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা খাতুন রেখা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ১১টি অটোরিকশা, একটি মাহিন্দ্র গাড়ি চালু করেছেন। সেই সাথে সন্ধ্যা নদী তীরবর্তী দরিদ্র রোগিদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে নৌপথে চালু করেছেন একটি ট্রলার। যা এই লকডাউন চলাকালীন সময়ে ২৪ ঘন্টা এ পরিবহন সেবা প্রদান করবে।

এ বিষয়ে কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ও সামাজিক উদ্যোক্তা আবদুল লতীফ খসরু বলেন, কাউখালীতে চলছে কঠোর লকডাউন। বন্ধ রয়েছে সকল পরিবহন ব্যবস্থা। যার কারনে সকল মানুষ রয়েছে ঘরবন্দী। এমন অবস্থায় প্রত্যন্ত এলাকায় অসুস্থ রোগিদের পরিবহনে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা ছিলোনা। আমাদের ইউএনও মহোদয় মানবিক বিবেচনায় নিজ উদ্যোগে প্রত্যন্ত এলাকার অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিতে পরিবহন সেবা চালু করেছেন। করোনাকালের এই ক্রান্তি লগ্নে এটি সত্যিই একটি মহতী উদ্যোগ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের শুরু থেকে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে আজ পর্যন্ত ৬৮টি মামলায় ৪১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন। পুলিশ ও বিজিবি টহল দেয়ার কারনে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী রাস্তার মোড়ে মোড়ে টহল অবস্থায় থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণাসহ প্রশাসনের পক্ষ হতে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদা খাতুন রেখা জানান, পুরো উপজেলা লকডাউনে গৃহবন্দীদের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু গোটা উপজেলা যানবাহন বন্ধ সে কারনে প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় রোগিদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে ১১টি অটোরিকশা, একটি মাহিন্দ্র ও নৌপথে একটি ট্রলার সার্বক্ষণিক পরিবহন সেবা চালু রাখা হয়েছে। 

এছাড়াও অনিয়ন্ত্রিত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন বেশি হচ্ছে। ফার্মেসিতে গিয়েই জ্বর বা মাথাব্যাথা আছে বললেই সেখান থেকে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই দেয়া হচ্ছে নাপা প্যারাসিট্যামলসহ নানা ঔষধ। যে কারণে লোকজন পরীক্ষা না করেই শুধুমাত্র জ্বর মনে করে নাপা খাচ্ছে। অথচ এদের মধ্যে অনেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এই পরীক্ষা সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই করা হচ্ছে। তাই অনুরোধ করবো টেস্ট করে ঔষধ গ্রহণ করুন। অনিয়ন্ত্রিতভাবে যে প্যারাসিটামল বিক্রি করা হচ্ছে সেটা নিয়ন্ত্রন করা দরকার। যেটিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি নিয়ন্ত্রন করেন তাহলে করোনা সংক্রমন কমবে বলে আমি মনে করি।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন