চারদিনের টানা বর্ষণে ভোলায় বিপর্যস্ত জনজীবন


চারদিনের টানা বর্ষণে উপকূলীয় জেলা ভোলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৩২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। এর মধ্যে আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে ভারী বর্ষণের ফলে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হচ্ছে। শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। রিকশাচালক, দিনমজুর এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক এলাকার মানুষদের ঘর থেকে বের হতেও বেগ পেতে হচ্ছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, এ মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় ১৩২.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ-সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
ফলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভোলার অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার বেশ কয়েকটি রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে।
বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভোলা-লক্ষীপুর, চরফ্যাশন-মনপুরা, তজুমদ্দিন-মনপুরা, দৌলতখান-আলেকজেন্ডার রুটসহ বেশ কয়েকটি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। এতে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অপরদিকে ভারী বর্ষণ এবং নদ-নদীর পানি বাড়ার ফলে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত পরিবার।
