নেছারাবাদে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে


পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলায় আনসার ও ভিডিপিতে চাকরি দেওয়ার নাম করে সবুজ আচার্য্য (৪২) নামে এক আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি উপজেলার পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৬ জন নারী ও পুরুষের কাছ থেকে ৬ হাজার টাকা করে মোট ৯৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি ওই টাকা ছাড়াও ইউপি নির্বাচনকালীন ডিউটির নাম করে আরো বেশ কিছু টাকা নিয়েছেন।
সবুজ আচার্য্য উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিসের সহকারি আনসার কমান্ডার পদে দায়িত্বরত আছেন বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন। ওই আনসার সদস্য উপজেলার স্বরূপকাঠি পৌরসভার ৩ ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ওই ওয়ার্ডের সন্তোষ কুমার আচার্য্য এর ছেলে। আনসার সদস্য সবুজ আচার্য্য আনসার ভিডিপিতে চাকরির পাশাপাশি মিয়ারহার শাখার ব্রাক ব্যাংকে সিকিউরিটিগার্ড পদে চাকরি করেন।
পূর্বজলাবাড়ি গ্রামের সুকন্ঠ মিস্ত্রির স্ত্রী কবিতা মিস্ত্রি অভিযোগ করেন, আমার স্বামী একজন দিনমজুর, আমিও মাঝে সাঝে মানুষের বাড়িতে কাজ করি। সবুজ একদিন আমার বাড়ীতে এসে বলে ৬ হাজার টাকা দিতে পারলে তোমাকে আনসার সদস্য পদে চাকরি দেয়া হবে। চাকরি হলে সাথে সাথে নির্বাচন, পূজাসহ বিভিন্ন সরকারি কাজে তোমাকে ডিউটিতে পাঠানো হবে। সেখান থেকে ডিউটির জন্য সরকার তোমাকে ভাতা দেবে। একইসাথে তোমাকে ট্রেনিং এ পাঠানো হবে। ট্রেনিং শেষে একটা সার্টিফিকেট পাবে। যে সার্টিফিকেট ভবিষ্যতে তোমার ছেলে মেয়ের কাজে আসবে।
একই গ্রামের অনিমা মজুমদার, সুলতা মিস্ত্রি, সুবির মিস্ত্রিসহ বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, সবুজ আমাদের গ্রামে এসে ইউপি নির্বাচনে ডিউটির কথা বলে আমাদের নাম নেয়। সে বলে তোমরা নির্বাচনে ডিউটিতে আসলে সরকারি একটা ভাতা পাবে। তোমাদের একটা সার্টিফিকেট হবে। যে সার্টিফিকেট দিয়ে তোমাদের ছেলে মেয়ের সহজে চাকরি হবে। আর এই সার্টিফিকেট ও নির্বাচন ডিউটির জন্য কাগজপত্র, অফিস খরচ বাবদ তোমাদের ৬ হাজার করে টাকা দিতে হবে। তবে টাকার কথা কাউকে বলা যাবেনা। তাই আমরা এলাকা থেকে সুদে এনে সবুজকে টাকা দিয়েছি।
অভিযুক্ত আনসার সদস্য সবুজ আচার্য্য অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি ৬ হাজার করে টাকা নিয়েছি সত্য। তবে তাদের টাকার বেশি অংশই গত ২৩ জুন ফেরত দিয়েছি। বাকি টাকা ধীরে ধীরে দিয়ে দেব।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য উপজেলা আনসার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজ বেগমকে না পেয়ে একাধিকবার তার ফোনে কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।
উপজেলা আনসার ভিডিপির প্রশিক্ষক আমিনুল হক বলেন, তদন্ত করে সবুজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমবি
