বরিশালে জিওপির ওপর জাপার হামলা, জি এম কাদেরসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা


বরিশালে গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন বরিশাল মহানগর গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর।
মামলার আসামিরা হলেন জিএম কাদের (৬৫), মজিবুল হক চুন্নু (৬০), সাইদুল ইসলাম ট্যাপা (৫৫), রুহুল আমিন হাওলাদার (৬৫), রত্না আমিন (৫৫), হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলাম মাহমুদ, লো জো মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া টিপু, এ.কে.এম সেলিম ওসমান, আশরাফুজ্জামান আশু, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম জিন্না, এম.এ জলিল, মহাসিনুল ইসলাম হাবুল (৬৫), মো. জুম্মান (৪০), অ্যাডভোকটে স হাওলাদার, মুফতি আল মাহিস ও মাহমুদ সোহেল। এছাড়া, আরো অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বাদী বলেন, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বরিশাল ফকির বাড়ী রোডের মুখে অবস্থান করে চা পান করি। এ সময় জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর কার্যালয় থেকে দলটির নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করে। ওই মিছিলে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্য এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কুটক্তিমূলক এবং সরকারের সমালোচনা করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়।
বাদী আরো বলেন, এই সময় আমরা তাদের বিনয়ের সাথে সরকারবিরোধী শ্লোগান না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করলে বরিশাল মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন নেতাকর্মী এবং আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা লোহার রড, বাশ, ইট নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
তাদের এলোপাথারী মারপিটে বরিশাল জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এইচ এম শামীম রেজা, সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম হাসান, বরিশাল মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার ফয়সাল, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মিরাজুল ইসলাম, বরিশাল মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ ফরাজী, বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি কে. এম মাঈনুল সহ গণঅধিকার পরিষদের আরো ১৫-২০ জন নেতা কর্মী গুরুতর আহত হন।
তিনি বলেন, তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়ত আহতদের চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের হাসপাতালের ভর্তি রেখে চিকিৎসা প্রদান করেন। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এইচকেআর
