গাভিকাণ্ডে স্বেচ্ছাসেবক নেতা বহিষ্কার


ঝালকাঠির রাজাপুরে পাওনা টাকার জন্য গোয়াল থেকে গাভি নিয়ে যাওয়া সেই বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজাপুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রতন দেবনাথ ও সদস্যসচিব আমিনুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। বহিষ্কার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম বেল্লাল হোসেন খান (৫৮)। তিনি শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামন খান গ্রামের আজিজ খানের ছেলে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বৈঠকে বসে গাভির মালিক নার্গিস আক্তারের হাতে তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে বাংলাদেশ জাতায়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেল্লাল হোসেন খান পাওনা টাকা আদায়ে আবু বকরের পোষা গাভী তাঁর গোয়াল থেকে নিয়ে আসেন।
বিষয়টি কোনোভাবেই কাম্য নয়। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বেল্লাল হোসেন খানকে সমস্ত পদ ও পদবি থেকে অব্যাহতি দিয়ে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বেল্লাল হোসেন খান বলেন, ৯ বছর আগে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প থেকে নার্গিসের স্বামী আবু বকরকে ২০ হাজার টাকা তুলে দেই। যা এখন সুদে আসলে ৩০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। আমার টাকা ফেরত না দেওয়ায় আমি গরু নিয়েছিলাম। পরে রাতেই নার্গিস বেগমের কাছে গরুটি ফিরিয়ে দিয়েছি।
ভুক্তভোগী নার্গিস বেগম জানান, স্বামী আবু বকর দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নেই এবং তাদের কোনো খোঁজও রাখেন না। গার্মেন্টসে চাকরি করে সঞ্চিত অর্থে তিনি একটি দুধের গরু কিনেছিলেন।
সেই গরুর এক মাস বয়সী একটি বাছুরও রয়েছে। কিন্তু তার স্বামীর কাছে ২০ হাজার টাকা পাওনা দাবি করে বেল্লাল হোসেন খান তার গরুটি নিয়ে যান। গাভীটি নিয়ে যাওয়ার পর বাছুরটি না খেতে পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তিনি ঝালকাঠি আদালতে মামলা করতে গেলে অভিযুক্ত বেলাল হোসেন খান গরু ফেরত দেওয়ার কথা বলে তাকে আদালত থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন এবং রাতে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে গরুটি ফেরত দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রতন দেবনাথ বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বেল্লাল হোসেন খানের এমন আচরণ কোনো সভ্য সমাজে কাম্য নয়। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এইচকেআর
