ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জুতার মালা পরিয়ে শিক্ষককে মারধর

ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জুতার মালা পরিয়ে শিক্ষককে মারধর
ভোলার বোরহানউদ্দিনে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ স্কুলশিক্ষক রক্তিম শর্মাকে মারধর করে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা। ছবি: সংগৃহীত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রক্তিম শর্মার নামে এক স্কুলশিক্ষককে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা।


বুধবার (১৪ মে) বিকেলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের মালিকানাধীন পৌরসভার হাওলাদার মার্কেটের শর্মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত ছাত্র-জনতা তাকে মারধর করেন। ওই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।


এ দিকে এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করে শত শত পোস্ট দেখা গেছে। 

অভিযুক্ত শিক্ষক রক্তিম শর্মা উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের সত্য হরি শর্মার ছেলে। বোরহানউদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার গণিত বিভাগের শিক্ষক তিনি।


একাধিক সূত্রে জানা যায়, শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র শর্মা পৌরসভার ৬ নম্বার ওয়ার্ডে হাওলাদার মার্কেটে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেন। বুধবার সকালে এক ছাত্রী একা তার কম্পিউটার সেন্টারে যান। দীর্ঘ সময় পর ওই ছাত্রীসহ তিনি রিকশায় বাজারে গিয়ে ফুল ও বিরিয়ানি আনেন। ওই সময় স্থানীয়রা ওই কম্পিটার সেন্টারে গিয়ে ওই শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থা দেখতে পান এমন অভিযোগ তাদের।

এরপর তাদের ওই কম্পিউটার সেন্টারের ভিতর আটক করে রাখেন। ওই সময় ট্রেনিং সেন্টারের ভিতর জন্মনিরোধ সামগ্রীসহ অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিচারের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত জনতা শিক্ষক রক্তিম শর্মাকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশ ভ্যানে তুলতে বাধ্য করেন। পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও উত্তেজিত জনতা তাকে মারধর করার চেষ্টা করেন।


স্থানীয়রা আরও জানান, এ শিক্ষকসহ আরেক শিক্ষক এর আগেও এ রকম একাধিক অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে প্রভাশালীদের শেল্টারে পার পেয়ে যান। তাই তারা এ শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি আগের অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ দাবি করেন।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খালেদা খানম বলেন, এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার জরুরি সভা হবে। ওই সভায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান জানান, ওই শিক্ষক এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
 


গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন