মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, অর্ধলাখ টাকা জরিমানা


বাবুগঞ্জ ও মুলাদী উপজেলার মধ্যবর্তী মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওদিকে বাবুগঞ্জ-কেদারপুর খেয়াঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দেড় মাসের ব্যবধানে ২য় বারে এ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা আদায় করেন।
এর আগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমান পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে ৫০ হাজার টাকা ও বাবুগঞ্জ-কেদারপুর খেয়াঘাটে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা রহমান জানান, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমরা সরেজমিনে নির্ধারিত মূল্যের কয়েকগুণ বেশি ভাড়া উত্তোলনের প্রমাণ পাই।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিয়ম অনুযায়ী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইজারাদারের লোকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া বাবুগঞ্জ-কেদারপুর খেয়াঘাটে অনিয়মের সত্যতা পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এধরনের অভিযান ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি অব্যহত থাকবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম মুলাদী ও বাবুগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী আড়িয়াল খাঁ নদীর মীরগঞ্জ ফেরিঘাট। ঘাটের ইজারাদার প্রভাব খাটিয়ে যানবাহন ও যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ থেকে দশগুণ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে।
ইজারাদার প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেন না। প্রতিবাদ করলেই ইজারাদারের বাহিনীর হামলা-নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় যাত্রী, যানবাহন মালিক ও শ্রমিকদের।
তিন উপজেলার ৭০ লাখ মানুষ তাদের হাতে জিম্মি। সব অনিয়ম অন্যায় জেনেও নীরব রয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এইচকেআর
