পাথরঘাটায় বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ, মোমবাতিরও সংকট


ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ৪দিন ধরে বিদ্যুৎবিহীন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সাড়ে তিন লাখ মানুষ। গত রোববার সকাল থেকে আজ বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত এ উপজেলায় বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ঘরবাড়ি, দোকান-পাট ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় মোমবাতি ব্যবহার করে চলছে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম।
এরমধ্যে পাথরঘাটা বাজারের দোকানগুলোয় মোমবাতিরও সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে জানানো হয়েছে, পাথরঘাটা উপজেলার সব কয়টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরও ২০দিনের বেশি সময় লাগতে পারে।
আজ বুধবার উপজেলার বাজারগুলোয় সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। যাদের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে তারা মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখেছেন।
পাথরঘাটা বাজারে জান্নাত বাণিজ্য ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম বলেন, গত ২দিন আগেই পাথরঘাটা বাজারে মোমবাতির সংকট দেখা গেছে। নতুন করে চাহিদা দিয়ে ডিলারদের থেকে সংগ্রহ করতে পারছি না। তবে ঢাকার মালামাল এসে পৌঁছলে দুএকদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুস সালাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে পাথরঘাটা-মঠবাড়িয়া এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি নাই। ঠিকাদার, নিজস্ব লোকবল, শ্রমিকসহ লাইন মেরামতের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র ভান্ডারিয়া থেকে মঠবাড়িয়া পর্যন্ত ৩৩ কেভি মেইন লাইন চালু উপযোগী করতে আরও দুই দিন সময় লাগতে পারে। এরপর পাথরঘাটা মেইন ৩৩কেভি লাইন চালু হবে। পর্যায়ক্রমে লাইন মেরামতসহ সমগ্র উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অন্তত ২০ দিন সময় লাগতে পারে।
এইচকেআর
