আমতলীর ৭ ইউপি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, আতঙ্কে কর্মকর্তা কর্মচারী ও সেবাপ্রার্থীরা!


বরগুনার আমতলী উপজেলায় সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে আছেন এসব ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের কর্মকর্তা কর্মচারী ও সেবাপ্রার্থীরা।
আমতলী উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে এ ভবনগুলো নির্মাণ করা হয় ।
উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের প্লাস্টার খসে পড়ছে, দেয়ালে ফাটল ধরতে শুরু করেছে, ছাদ থেকে পানি পড়ছে। এর মধ্যে, হলদিয়া, চাওড়া, গুলিশাখালীসহ কয়েকটি ইউপি ভবন বেশি ঝুঁকিতে আছে। এসব ইউপি ভবনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ নিয়মিত সেবা নিতে যান।
উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিদিনই সেবা নিতে মানুষের দীর্ঘ লাইন দেখ গেছে। ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন সবাই। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ওই ভবনে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই তাদের।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ দুধা মিয়া বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। ছাদ থেকে পানি পড়ে, ফাটল ধরেছে। খুব ভয়ে ভয়ে ডিউটি করি।
চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা সুমি বেগম বলেন বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় সব সময়ই উদ্বিগ্ন থাকি।একই অবস্থা উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া, কুকুয়া, আঠারগাছিয়া ও আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনগুলোতে।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের বেহাল দশা। তিনি আরও বলেন, কয়েকটি দপ্তরে আবেদন করেছি। ভবনটি সংস্কার হওয়া বা নতুন ভবন হওয়া খুবই জরুরি।
উপজেলার গুলিশাখালীতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনেরও বেহাল দশা। ভবনের কয়েকটি স্থান থেকে প্লাস্টার খসে পড়ছে এবং ছাদেও ফাটল দেখা দিয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাড. এইচ এম মনিরুল ইসলাম বলেন, ভবনের বেহাল দশার কারণে সেবা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছি। অতি দ্রুত সংস্কার হওয়া বা নতুন ভবন হওয়া দরকার।
আমতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভবনগুলো সংস্কারের জন্য উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভায় রেজুলেশন করা হয়েছে। অতিদ্রুত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে ভবনগুলো সংস্কার করা হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহি অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, ভবনগুলো সংস্কারের জন্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে। খুব দ্রুত সময়ে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।
এইচকেআর
