বরগুনায় সাংবাদিক মাসউদ হত্যা মামলার সাত আসামি কারাগারে


বরগুনায় সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলার সাত আসামি কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হারুন অর রশিদ তাঁদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো ওই সাত আসামি হলেন সোহেল হাফিজ (৪৭), আরিফুল ইসলাম মুরাদ (২৮), কাশেম হাওলাদার (৩০), সাইফুল ইসলাম (৩০), ওয়ালিউল্লা ইমরান (২৮), জাহিদুল ইসলাম (২৮) ও সোহাগ হাওলাদার (২৫)। এর মধ্যে হাফিজ আল আসাদ এই মামলার প্রধান আসামি। বাদীপক্ষের আইনজীবী এ কে এম শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তালুকদার মাসউদ দৈনিক ভোরের ডাকের বরগুনা জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। এ ছাড়া বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এ কে এম শফিকুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলার আট আসামি আজ সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। জামিন আবেদনের শুনানি শেষে আদালতের সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নথি হাতে পাওয়ার পর আমরা আদালতে জামিন প্রার্থনা করব।
মামলার বাদী সাংবাদিক তালুকদার মাসউদের স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন, মামলার সাত আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এতে কিছুটা শান্তি পেয়েছি।
এখনো বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। আশা করি, পুলিশ তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাবে তালুকদার মাসউদকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা। পরে খবর পেয়ে বরগুনা সদর থানার পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ৪ মার্চ তালুকদার মাসউদের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে বরগুনা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বরগুনা সদর থানার এসআই হেলাল উদ্দীন বলেন, সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলার সাত আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ওই মামলার বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।
এইচকেআর
