ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী হত্যা মামলার ৬ আসামি কারাগারে 

মঠবাড়িয়ায় ইমরান গাজী হত্যা মামলার ৬ আসামি কারাগারে 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর ইমরান গাজী হত্যা মামলার তদন্তে থানা পুলিশ বিতর্কিত ভূমিকা পালন করলেও সাফল্য দেখিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে  গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর তারা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৪ জন এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি ১ জন এবং ৭ মার্চ পিরোজপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। 

আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। কারাগারে থাকা আসামিরা হলো, সবুজ নগর এলাকার ফাতিমা বেগম, মেহেদী হাসান, হারুন অর রশীদ, পশ্চিম টিকিকাটা এলাকার  ফেরদৌস মৃধা, মুহিত মৃধা ও হালিম গাজী । 

অভিযুক্ত আসামি ইলিয়াস খলিফা উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিনে থাকলেও সবুজ নগর এলাকার রফি ফকিরের ছেলে রাজু ফকির পলাতক রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আহসান কবির জানান, সাক্ষ্য গ্রহণের তদন্ত প্রতিবেদন পূর্বের সুরতহাল ও ময়না তদন্তের প্রতিবেদনের সাথে সাক্ষীদের জবানবন্দি ও পারিপার্শ্বিক মিল না থাকায় আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ইমরান গাজীর (২৫) লাশ পুনরায় ময়না তদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। 

১০ জন সাক্ষী এবং ১৫ জন নিরপেক্ষ সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রমান নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করি। পূর্বের সুরতহালে ইমরান গাজী ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 কিন্তু পিবিআই তদন্তে ইমরান গাজীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়। মামলার বাদী আব্দুলাহ গাজী জানান ২০২১ সালেল ১১ অক্টোবর ইমরান গাজী হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে পুলিশ বিতর্কিত ভুমিকা পালন করে। তারা সঠিক তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়। থানায় মামলা না নিয়ে এ ঘটনায় তারা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে বলে জানা যায়। 

আদালতে মামলা না করলে আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হতাম। হত্যাকান্ডের পর ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেন ওই সময়ের মঠবাড়িয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আসলাম। 

তিনি আসামিদের সাথে যোগসাজশ করে তদন্তে অবহেলা ও আসামিদের পক্ষপাতিত্ব করে। সুরতহালের সাদা কাগজে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের সরিয়ে দেয়। এরপর লাশ থানায় নিয়ে যায়। এ সময় আমরা থানায় গেলে এসআই আসলাম আমাদের থানা থেকে বের করে দেয়।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন