মঠবাড়িয়ায় অবৈধ স্থাপণা উচ্ছেদে প্রশাসন কঠোর অবস্থনে, আতঙ্কে দখলদাররা


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর সরকারী বাসভবন থাকলেও বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় তিনি থাকেন ভাড়া বাসায়।
বাসভবনটি অবৈধ দখলবাজদের দখলে তাস, জুয়া, মলমূত্র ত্যাগসহ নেশাগ্রস্থদের নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। বাসভবনটি সংষ্কার বা নতুন ভবন নির্মাণ কাজেও রয়েছে নানা জটিলতা।
সরকারি বাসভবনে যাতায়তের পথ রুদ্ধকরে তৈরি করা হয়েছে দোকাপাট। ফলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জীবনের ঝুকি নিয়ে মঠবাড়িয়া শহর থেকে কিছুটা দুরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বাসভবনের জন্য নির্ধারিত ১ নম্বর খাস খতিয়ান ভূক্ত ১ একর জমির মধ্যে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ২০১২ সালে তৎকালীন সাংসদ ডাঃ আনোয়ার হোসেন ও প্রশাসনের যোগসাজসে অবৈধ দখলবাজরা বাস ভবনের সামনে সারিবদ্ধ দোকান ও ভিতরে অবৈধ ভিটি, দোকান, ঝুপরি ঘরসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ করে। ইতিমধ্যে কেউ কেউ মোটা অর্থের বিনিময় দোকানের মালিকানা বিক্রিও করেছে।
এদিকে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ূম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈকত রায়হান জিরো টলারেন্স ভূমিকায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে শহরে অসংখ্য খাস জমি, খাল, পুকুর, ইটভাটা ধ্বংস, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ রাঘব বোয়ালের দখলে থাকা সরকারী জমি উদ্ধার শুরু করেছে। এতে সচেতন মহলের প্রসংসায় ভাসছেন উপজেলা প্রশাসন।
গুঞ্জন উঠেছে অচীরেই সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর বাস ভবনের জমি দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করা হবে। ফলে আতঙ্কে রয়েছেন অবৈধ জমিতে ব্যবসারত দোকান মালিকরা।
কেউ কেউ হেভিওয়েট নেতাদের মাধ্যমে অবৈধ অর্থের মিনিময়ে ইউএনও এবং এসিল্যান্ডকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সূত্র জানায়। আবার এও গুঞ্জন উঠেছে উপজেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার প্রস্তুতিও গ্রহন করতে যাচ্ছে কেউ-কেউ।
এদিকে স্থানীয় সাংসদ শামীম শাহনেওয়াজ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মঠবাড়িয়াকে নিরাপদ বিনির্মানের ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশণার (ভূমি) স্বাধীন ভাবে কাজ করছেন।
সদস্য শামীম শাহনেওয়াজ বলেন, জন কল্যাণে সরকারী কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে আমার পূর্ণ সমর্থন থাকবে। প্রশাসনকে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম বলেন, জন কল্যাণে সরকারী নির্দেশনা পালনের একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারো প্ররোচনায় কিংবা কোন অপশক্তি আমার দায়িত্ব থেকে দুরে সরাতে পারবে না।
গত তিন যুগেরও বেশী সময় ধরে মঠবাড়িয়ার অসংখ্য সরকারী জমি,খাল, নদী, জলাশয় অবৈধ দখলবাজদের কবলে রয়েছে। যার ফলে জনজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।
এইচকেআর
