সাগরে মাছ শিকারের সময় ট্রলারডুবি : ১৮ জেলে উদ্ধার


দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় পাথরঘাটা পৌরসভার মারুফ হোসেনের মালিকানাধীন এফবি আল আমিন নামের একটি ট্রলারের নিচ থেকে পানি উঠে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ওই ট্রলারের মালিক মারুফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ট্রলারডুবির কয়েকঘণ্টা পরে অন্য একটি ট্রলার জেলেদের ভাসতে দেখে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এর আগে ভোররাত ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগরের সোনার চর এলাকা থেকে দক্ষিণে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। উদ্ধার জেলেদের মধ্যে সাতজনের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এবং অন্য ১১ জেলের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলেদের নাম জানা যায়নি। ট্রলার মালিক মারুফ হোসেন জানান, গত পহেলা ফেব্রুয়ারি পাথরঘাটার ঘাট থেকে রসদসামগ্রী নিয়ে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যায় তার এফবি আল আমিন নামের ট্রলারটি।
এরপর তারা সাগরে মাছ শিকার করছিল। গত শনিবার সোনারচর এলাকায় জাল ফেলে রাতে অর্ধেক জাল টানেন এবং বাকি জালগুলো সকালে টানার জন্য রেখে ঘুমিয়ে পরে জেলেরা।
ভোররাতের দিকে মাঝি ঘুম থেকে উঠে দেখেন ট্রলারের অর্ধেক ডুবে গেছে। এরপর অন্য জেলেদের ঘুম থেকে ডাকার মধ্যেই ট্রলারটি সম্পূর্ণ ডুবে যায়। এ সময় জেলেরা নদীতে ঝাঁপ দিলে কয়েক ঘণ্টা পর অন্য একটি ট্রলার তাদের ভাসতে দেখে উদ্ধার করে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি এলাকায় নিয়ে আসেন।
তিনি আরো জানান, ট্রলারটির নিচের পানি সাপ্লাইয়ার্স যন্ত্রের (সিক্যাপ) পাশ থেকে পানি উঠে ডুবে যায় ও উদ্ধার হওয়া জেলেরা সকলেই সুস্থ আছেন এবং প্রশাসনকে অবহিত করেছেন।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, এফবি আল আমিন নামের একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। ট্রলার মালিকের সাথে কথা বলেছি, ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দুটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার ১৮ জেলেরা সুস্থ আছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট সাকিব মেহবুব জানান, আমরা এখন পর্যন্ত ট্রলারডুবির খবর পাইনি। খোঁজ-খবর নিয়ে দেখছি।
এইচকেআর
