বরগুনায় গৃহবধূকে হত্যা: স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবর গ্রেফতার


বরগুনার তালতলীতে নিখোঁজের দু’দিন পরে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) গ্রেফতারের পর দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিদের আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে শুক্রবার নিখোঁজ ওই গৃহবধূ সুখীর (২০) লাশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন স্বামী মো: হাসান সরদার (২১), শ্বশুর মো: সাইফুল সরদার (৪৫), শাশুড়ি ময়না বেগম (৪০) ও স্বামীর ফুফাত ভাই আবদুল (৩০)।
জানা যায়, গত ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যার পরে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া এলাকার শ্বশুরবাড়ির কাজ শেষে গৃহবধূ সুখী (২০) নিজ কক্ষে চলে যায়। এরপর তার আর কোনো সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। সকালে পরিবারের লোকজন আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ করেও তার কোনো সন্ধ্যান পায়নি। দু’দিন পরে ২ ফেব্রায়ারি শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নিহতের শশুর বাড়ির অদূরে ওয়াপদা রাস্তার পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বেলা ১২টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের শরীরে আঘাতের বেশ কয়েকটি চিহ্ন পাওয়া গেছে এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতেই গৃহবধূর মা ফাতেমা বেগম অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: শহিদুল ইসলাম খান বলেন, গৃহবধূর মা থানায় একটি মামলা করেন। সেখানে কোনো আসামিদের নাম উল্লেখ করেনি। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি ও দেবরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা থাকায় ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এইচকেআর
