ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ‘ইবলিশ-মোনাফেক’ বলায় শম্ভুকে ফের শোকজ

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ‘ইবলিশ-মোনাফেক’ বলায় শম্ভুকে ফের শোকজ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ‘ইবলিশ ও শয়তান’ মন্তব্য করায় বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।  

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বরগুনা-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাইদ এ নোটিশ দেন।


নোটিশে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটির কাছে লিখিত বক্তব্য দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ ডিসেম্বর বরগুনার তালতলী উপজেলার কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রচারণা সভায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমালোচনা করে ‘ইবলিশ, ইডিয়েট ও মোনাফেক’ বলে মন্তব্য করেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

এর মাধ্যমে নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু নির্বাচনি আচরণবিধি ২০০৮ এর ১১(ক) লঙ্ঘন করেছেন। এ অবস্থায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রার্থী নিজে বা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত জবাব দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

২৬ ডিসেম্বরের সেই প্রচারণা সভায়  ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন,‘উন্নয়ন হয় নাই এই যে কথাটা বলে, এটি মোনাফেকি কথা, ইবলিশরা এইভাবে কথা বলে, আমি দুঃখিত এইভাবে কথা বলায়। ইবলিশটা আল্লাহর ভাষা, আর আমাদের ভাষা হল শয়তান, আমি আল্লাহর ভাষায় ইবলিশ বলবো। 

এই ইবলিশদের বিচার হবে ইনশা আল্লাহ। এটা কেমন কথা যে উন্নয়ন হয় নাই নাকি। আমরা কি ভাইস্যা আইছি নাকি। ভোট একেবারে চাইলেই দিয়ে দেবে। এই এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে অনেক রাস্তাঘাট, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন হয়েছে।

সাব রেজিস্ট্রি অফিসও হয়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাটের জন্য সাড়ে সাতশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। কে বলেছে উন্নয়ন হয়নি! যারা বলে উন্নয়ন হয়নি তারা ইবলিশ শয়তান। বিষয়টি নিয়ে গত ৩০ ডিসেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।  

কারণ দর্শানো নোটিশের বিষয়ে নৌকার প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নৌকার প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী মজিবুল হক কিসলু বলেন, প্রার্থীর পক্ষে আমি যথাসময়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে লিখিত জবাব দাখিল করব।

উল্লেখ্য, এর আগেও প্রচারণায় ও বক্তব্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় গত ১১ ডিসেম্বর শম্ভুসহ ৯ আওয়ামী লীগ নেতাকে শোকজ করেছিল নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। জবাব সন্তুষ্ট না হওয়ায় ১৬ ডিসেম্বর শম্ভুসহ ৫ নেতাকে জরিমানার সুপারিশ করে ইসিতে প্রতিবেদন পাঠায় কমিটি। ২৭ ডিসেম্বর তাকে নির্বাচন কমিশনে তলব করা হয় এবং ২৮ ডিসেম্বর ইসিতে উপস্থিত হয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে অভিযোগ থেকে নিস্তার পান ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন