নির্বাচনি সহিংসতা বাড়ছে, শঙ্কায় ভোটাররা


আগামী ২১ জুনের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বরিশালের বিভিন্ন স্থানে বাড়ছে সহিংসতা। বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অফিস ভাংচুর, কর্মীদের মারধর এমনকি প্রার্থীদের হুমকী দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এর মধ্যেও সুষ্ঠু-সুন্দর ভোটের প্রত্যাশা করছেন ভোটাররা। নির্বাচন কর্মকর্তারাও সুষ্ঠু-সুন্দর ভোটের ব্যাপারে আশাবাদী। অপরদিকে ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর বলে জানিয়েছেন বরিশাল রেঞ্চের ডিআইজি।
নির্বাচনী প্রচারনার শেষ সময়ে এসে বরিশালের বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। ইতিমধ্যে উজিরপুর, মুলাদী, মেহেন্দিগঞ্জ এবং বাবুৃগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিস ভাংচুর এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন ব্যাপক সহিংসতার আশংকা করছেন প্রতিদ্বন্ধি স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
যদিও প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীদের উপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্ষমতাসীন প্রার্থীরা। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ মজিবুল হক টুকু বলেন, দলের স্রোতের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এ কারনে তারা অভিযোগ তুলে জনগনের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করছেন। ক্ষমতাসীন প্রার্থীরাও সুষ্ঠু ভোটে নির্বাচিত হওয়ার আশা করেন বলে তিনি জানান।
তবে ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য শান্তিপূর্ন পরিবেশ সৃষ্টির দাবী জানিয়েছেন। তারা এলাকার উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করার পক্ষে।
এদিকে ২১ জুন সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। এ লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অপরদিকে ভোটের প্রাক্কালে ভোটারদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রেঞ্জ ডিআইজি মো. আক্তারুজ্জামান। শনিবার দুপুরে বরিশাল পুলিশ লাইনে নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং করেন ডিআইজি। এ সময় সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়। এর ব্যতয় হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারী দেন তিনি।
বরিশাল জেলার ১০ উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নে ৪শ’ ৭৪টি কেন্দ্রের ২ হাজার ৯শ’ ৬৮টি কক্ষে ভোট দেবেন ৯ লাখ ২০ হাজার ৪ শ’ ৬৩ জন ভোটার। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ হাজার সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জ ডিআইজি।
এইচকেআর
