ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে  গরুকে ঘাষ খাওয়ানোর জন্য স্কুল মাঠে খেলাধুলা নিষিদ্ধ !

আমতলীতে  গরুকে ঘাষ খাওয়ানোর জন্য স্কুল মাঠে খেলাধুলা নিষিদ্ধ !
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলীতে গরুকে ঘাষ খাওয়ানোর জন্য স্কুল মাঠে খেলাধুলা নিষিদ্ধ করে জাল টানিয়ে বেড়া দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে,শারিকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগমের বিরুদ্ধে । 

স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষক শাহিদার বেগমের বিরুদ্ধে   আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাটি  তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের শারিকখালী গ্রামের শারিকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগম তার ছোট ভাই বাচ্চু শলীফের গরুকে ঘাষ খাওয়ানোর জন্য স্কুলের মাঠ জুরে জালের বেড়া টানিয়ে দিয়েছেন। জাল দিয়ে বেড়া দেওয়ায় স্কুলের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কোন যুবকরা এই মাঠে প্রবেশ করতে পারে না এবং তারা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিদ্যালয়ের ক্লাশের অবসরে আমাদের খেলা ধূলার ইচ্ছা থাকলেও প্রধান শিক্ষকের  নির্দেশের কারনে আমরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছিনা।  

স্থানীয় যুবকদেরও একই অভিযোগ। তারা কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, বিকেলে আমরা এই স্কুলের মাঠে ফুটবলসহ নানা খেলা ধূলা করতাম। এখন প্রধান শিক্ষক মাঠে জালের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে দিয়েছে। এবং আমাদের মাঠে নামতে নিষেধ করেছে। যে কারনে আমরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিদা বেগম  অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলে ফল, ফুলের এবং কলাগাছ চাষ করায় তা রক্ষার জন্য জালের বেড়া দিয়েছি। খেলাধুলা নিষিদ্ধ করি নাই। শিক্ষার্থীদের মাঠে নামতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক বলেন, বর্তমানে পরীক্ষা চলছে। তাই শিশুরা খেলবে কিভাবে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. শাহজাহান কবির বলেন, এবিষয়ে জানার পর আমি শিক্ষার্থী এবং স্থনীয় যুবকদের খেলার জন্য মাঠ উম্মুক্ত করে দিতে বললেও প্রধান শিক্ষক তা শুনছেন না।

আমতলী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল আলম বলেন, শারিকখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ব্যবহার করতে দিচ্ছে না এসংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগের অনুলিপি পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী  অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিবেদনে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন