বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গ্রেপ্তার, আছেন ডিবি হেফাজতে


গভীর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান (ডিবি) মুহাম্মদ হারুন অর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন। দলটির চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের বৈঠকে তাকে দেখা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গুলশান এলাকা থেকে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়নি।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষের পর থেকে এই গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। গত ২৯ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের এই গ্রেপ্তার অভিযানের মুখে বিএনপির অনেক কেন্দ্রীয় নেতা আত্মগোপনে আছেন। বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে গুলশান এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর (উত্তর) যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল পারভেজ ও সদস্য গোলাম কিবরিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। একইসঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো ও যুগপতের বাইরে থাকা জামায়াতে ইসলামীও সমাবেশের ডাক দেয়। এদিন বিপুল জমায়েত হয় বিএনপির মহাসমাবেশে। সমাবেশের মূল মঞ্চ থেকে সেটি কাকরাইল মোড় পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে। এদিন সমাবেশ চলাকালে এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। মহাসমাবেশ পণ্ড হলে তারা হরতাল অবরোধ কর্মসূচিতে যায়। গত ২৯ অক্টোবর সারাদেশে হরতাল এবং গত ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার সর্বাত্ম অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি। এসব কর্মসূচিকে ঘিরে সারাদেশে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লালমনিরহাটে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয় এবং অবরোধ চলাকালে কিশোরগঞ্জ ও সিলেটে তিনজন বিএনপি নেতাকর্মীর মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
এমএন
