হারিয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠির ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা গামছা


ঝালকাঠির হাতে বুনো তাঁতের গামছার কদর ছিল একসময় দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে। তবে বর্তমানে মেশিনচালিত তাঁতের কাছে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প।
স্থানীয়রা জানায়, ঝালকাঠির সদর উপজেলার বাসন্ডায় পুরো এলাকাজুড়ে ছিল প্রায় ২০০ তাঁতী পরিবার। তারা হাতে চালিত তাঁতে রঙিন সুতায় শাড়ি, লুঙ্গি এবং গামছা বুনতেন। কিন্তু বর্তমানে সব পণ্যের দাম অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি ও মেশিন চালিত আধুনিক তাঁতের কাছে হাতের শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাসন্ডা কারিগরবাড়িতে দু-চারটি তাঁতি পরিবার তাদের এই পেশা ধরে রাখলেও অধিকাংশই চলে গেছে অন্য পেশায়।, জীবিকার টানে কেউ আবার পাড়ি জমিয়েছেন শহরে।
নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের ভবনীপুর গ্রামে থাকা ৪০টির বেশি তাঁতী পরিবারের মাঝে এখন রয়েছে মাত্র তিনটি পরিবার। যারা ধরে রেখেছে হাতে বুনো তাতশিল্পের ঐতিহ্যকে ।
গামছা তৈরির কারিগর সুশীল দেবনাথ জানান, প্রতিদিন দুই থেকে তিনটা গামছা তৈরি করতে পারেন তিনি। আর এই গামছাপ্রতি খরচ পরে ২৫০ টাকা। এদিকে এই গামছাগুলো বিক্রি হয় তিনশ থেকে সাড়ে তিনশো টাকায়। এত অল্প লাভে এখন এই ব্যাবসায় টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে এসব তাতিদের।
এদিকে কারিগর আবদুল মালেক বলেন, বংশ পরম্পরায় এই ব্যাবসা করে আসছেন তিনি ও তার পরিবার । তবে বর্তমানে সুতা ও রঙের দাম বৃদ্ধির কারণে তাঁত শিল্প হুমকির মুখে পরেছে। এখন বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে ঋণ কোন রকম চলছে এই ব্যাবসা।
সরকারি সহায়তা না পেলে অচিরেই বিলুপ্ত হতে পারে বাংলাদেশের এই প্রাচীন শিল্প- এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই দ্রুত পদক্ষেপের আহবান জানিয়েছেন তারা
আরজেএন
