ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ

কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিসিএল) ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র।
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভৌত অবকাঠামো নির্মাণকাজ ৭৬ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিটের কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের জুনে এবং অপর ইউনিটটি অক্টোবরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসবে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ১হাজার ৩২০মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক আরেকটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে, যা পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নামে পরিচিত। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে চলেছে। এর মাত্র দুই কিলোমিটার উত্তরেই রামনাবাদ নদীর তীরে অবস্থিত নতুন তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে। রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড বা আরপিসিএল এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে। চলতি বছর জুন পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ এবং ৬০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক তৌফিক ইসলাম।

৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটটি ২০২৪ সালের জুনে এবং অপর ইউনিটটি অক্টোবরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসবে। আরপিসিএল সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া, ধানখালী ও লোন্দা গ্রামের ৯১৫ একর জমি এই প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হলেও এর মধ্যে ৫০০ একর জমিতে অবকাঠামো নির্মাণের কর্মযজ্ঞ এগিয়ে চলেছে।

প্রথম ইউনিটের বয়লার, মেইন পাওয়ার হাউস, টারবাইন, জেনারেটর হল প্রভৃতি ভৌত কাঠামোর কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এ ছাড়া চিমনি, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ, গবেষণাগার, জ্বালানি তেল সংরক্ষণাগার, পানি সংরক্ষণাগার, ট্রান্সফরমার গ্রাইন্ড, ফ্লাই অ্যাশ সাইলো, ফুয়েল-ওয়েল পাম্প, রেইন ওয়াটার রিজার্ভার, ফায়ার স্টেশন সার্ভিস অ্যান্ড ফায়ার ফাইটিং ওয়াটার ট্যাংক, রেগুলার অ্যান্ড ইরেগুলার ওয়েস্ট ওয়াটার স্টোরেজ বেসিন, প্রশাসনিক ভবন, প্রকৌশল ভবন, মাল্টিপারপাস হল, ওয়ার্কশপ, মিনি ফায়ার স্টেশন ইত্যাদির অবকাঠামো নির্মাণকাজও সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় কয়লা লোড-আনলোডের জন্য জেটি এবং জাহাজ থেকে কয়লা আনার জন্য কনভেয়ার বেল্ট নির্মাণকাজও চলমান রয়েছে। এ ছাড়া মেইন ট্রান্সফরমারসহ প্রকল্পের মূল যন্ত্রপাতিও স্থাপন করা হয়েছে এবং কিছু মালামাল চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এ ছাড়া প্রকল্প এলাকায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ডরমিটরি, ক্যানটিন, মসজিদ নির্মিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্প পরিচালক তৌফিক ইসলাম  জানান, ২ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে। বর্তমানে প্রকল্পটিতে ৯৭২ জন বিদেশি এবং ৫ হাজার ৭ জন বাংলাদেশিসহ মোট ৫ হাজার ৯৭৯ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী দিন-রাত কাজ করছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর জুনে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং অক্টোবরে দ্বিতীয় ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসবে। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এটি চালু হলে বিদ্যুৎ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। 


 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন