ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

জোর করে পরীক্ষা নেওয়া হলো অসুস্থ ছাত্রীর, পরদিনই মৃত্যু

জোর করে পরীক্ষা নেওয়া হলো অসুস্থ ছাত্রীর, পরদিনই মৃত্যু
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বাড়ি যাওয়ার অনুমতি মেলেনি। জোর করে আটকে রেখে পরীক্ষা দেওয়াতে বাধ্য করা হয়। আর শিক্ষকদের অবহেলার কারণেই অসুস্থতা বেড়ে যায় ও তা থেকেই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ।

ঘটনা ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফরিদাবাদ জেলার। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম আরাধ্যা খান্ডেলওয়াল। সে ফরিদাবাদের একটি সিবিএসসি স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

মেয়েটির মা-বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন। তাদের দাবি, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে স্কুল যাওয়ার পথে বমি হয় আরাধ্যার। বুধবার সকালেও সে তার ক্লাস টিচারকে অসুস্থতার কথা জানায়। কিন্তু অসুস্থতার কথা শুনেও আরাধ্যাকে বাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি। উলটো তাকে আটকে রেখে গণিত পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা হয়। এর পরদিন বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালেই মেয়েটি মারা যায়।

আরাধ্যার এক সহপাঠীর মা বলেন, আরাধ্যা বুধবার সকাল থেকেই অসুস্থ বোধ করছিল। আমার মেয়ে আরাধ্যার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিল। আমার মেয়ে আমাকে বলেছে, আরাধ্যা ক্লাস টিচারকে তার অসুস্থতার বিষয়ে জানিয়েছিল। কিন্তু অস্বস্তি বোধ করা সত্ত্বেও আরাধ্যাকে জোর করে পরীক্ষায় বসানো হয়। ও নাকি পরীক্ষা দিতে বসে দরদর করে ঘামছিল, এমনকি, সে ঠিক করে হাঁটতেও পারছিল না।

আরাধ্যার বন্ধুরা বলে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে আরাধ্যা বাসের মধ্যে আবার বমি করে। সেসময় বাস নোংরা করার জন্য বাসচালক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

পুরো ঘটনা নিয়ে স্কুলের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। তবে আরাধ্যা স্কুল ছেড়ে যাওয়ার অনেক পরেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু হলে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তিনি মৃত পড়ুয়ার বাবা-মাকে পুরো বিষয়টির অভ্যন্তরীণ তদন্ত করারও আশ্বাস দিয়েছেন।

যে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আরাধ্যার ওষুধ লিখেছিলেন, তিনি বলেছেন আরাধ্যার বাবা তাকে ফোনে যা বলেছিলেন তার ভিত্তিতেই তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আরাধ্যার সব লক্ষণ ছিল পানিশূন্যতার।


আরজেএন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন