এক বাঁশের সাঁকোতে ১০ হাজার মানুষ পার হচ্ছে প্রতিদিন


প্রতিদিন ৫ গ্রামের ১০ হাজার মানুষের পারাপারে একমাত্র ভরসা এই বাঁশের সাঁকো। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। দ্রুত সময়ের সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
পটুয়াখালীর চম্পাপুর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী ও উত্তর মাছুয়াখালী গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে মাছুয়াখালী খাল। দুই যুগ আগে মাছুয়াখালী বাজার সংলগ্ন খেয়া নৌকা দিয়ে এ খাল পার হতো সাধারণ মানুষ।
পরে প্রায় ২০ বছর আগে ওই খালের উপর একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন স্থানীয়রা। প্রতিদিন এ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হচ্ছে ৫ গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। এরমধ্যে রয়েছে ১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসার হাজারো শিক্ষার্থী। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ সাঁকো পারাপারে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে রয়েছেন গর্ভবতী নারীসহ অসুস্থ রোগী ও শিক্ষার্থীরা। এছাড়া কৃষিপণ্য বাজারজাত করা যাচ্ছেনা এই সাঁকো দিয়ে। তাই এ খালের উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরী হয়ে উঠেছে।
উত্তর মাছুয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ্ব রহমান মিয়া জানান, আগে এই খালটি অনেক বড় ছিলো। এখন ছোট হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সাঁকো পার হওয়া আমার একার পক্ষে অসম্ভব। কারণ আমি লাঠি ভর দিয়ে হাঁটি।
একই এলাকার পঞ্চাশোর্ধ্ব অপর বাসিন্দা ছলেমান মিয়া জানান, কয়েকদিন আগে আমার ছেলের বউ অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে গর্ভবতী ছিলো। কিন্তু বাঁশের সাকো থাকার কারণে তাকে আমরা তাৎক্ষনিক হাসপাতালে নিতে পারিনি।
পরে অনেক কষ্টে নৌকা যোগাড় করে নৌকায় খাল পার করেছি। এছাড়া কয়েকদিন আগেও কয়েকজন স্কুলশিক্ষার্থী এই বাঁশের সাঁকো পার হতে গিয়ে বই খাতা নিয়ে খালে পড়ে যায়। এভাবে একটা না একটা দুর্ঘটনা ঘটছেই। আমরা মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে অনেক ধর্ণা ধরেছি। কিন্তু আমাদের একটি ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছেনা।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়সাল বারী জানান, মাছুয়াখালী খালের উপর ৫০ মিটারের একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের লক্ষে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে ওখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে।
আরজেএন
