শেবাচিমে সহকর্মীদের অবহেলায় ব্রাদারের স্ত্রীর মৃত্যুর অভিযোগ


বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকর্মীদের দায়িত্ব অবহেলায় এক স্টাফ নার্সের (ব্রাদার) স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৃত গৃহবধূ হলেন এক সন্তানের জননী মার্থা অঞ্জু মন্ডল (৩৮)। তিনি স্টাফ নার্স লিটন গোমেজের স্ত্রী।
লিটন গোমেজের স্বজন ও সহকর্মীরা জানান, কাজের সুবাদে বরগুনার বাসিন্দা লিটন গোমেজ বরিশালে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ফুসফুসে সমস্যা নিয়ে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে স্ত্রী অঞ্জু মন্ডলকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন লিটন গোমেজ।
প্রথমে তাকে সিসিইউতে ভর্তি করা হলে পরবর্তীতে তাকে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টের জন্য আইসিইউতে নিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসক।
সহকর্মীরা জানান, লিটন কাগজ নিয়ে সিসিইউর নীচ তলায় থাকা আইসিউতে যান। সেখানে দায়িত্বরত স্টাফ নার্স (সেবিকা) অপু রাণী ও লাভলি আক্তার চিকিৎসক নেই বিধায় রোগীকে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে রাখা যাবেনা বলে জানায়।
এরপর লিটন বিষয়টি সিসিইউর চিকিৎসকদের জানালে, তারা রোগীকে নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠান। সেখানে রোগীকে নেয়া হলে চিকিৎসকরার সিসিইউর কাগজ বাদ দিয়ে রোগীকে নতুন করে ভর্তির নির্দেশ দেন। এরপর রাত আড়াইটার পরে অঞ্জুকে নতুন করে ভর্তি করিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডের অধীনে পোস্ট সিসিইউ ওয়ার্ডে চিকিৎসা শুরু হয়। তবে সেখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত না হওয়ায় শনিবার (২৪ জুন) সকালে অঞ্জুর মৃত্যু হয় বলে দাবি পরিবারের।
সহকর্মীদের অভিযোগ, সিসিইউর সেবিকারা যথেষ্ট প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ও অভিজ্ঞ। তারা সেখানে ভেন্টিলেটরি সাপোর্টে নিজেরাই রাখতে পারতেন, তাহলে হয়তো অঞ্জুকে বাঁচানো যেতো। তারা এ ঘটনার তদন্ত দাবি করছেন, সেইসাথে যাদের দায়িত্বে অবহেলা রয়েছে তাদের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে সিসিইউর দায়িত্বরত সেবিকারা কোন কথা বলতে না চাইলেও শেবাচিম হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা বেগম বলেন, উনি (রোগীর স্বামী) রোগীকে আইসিউতে নিয়ে যায়নি, আর তিনি সেখানে গিয়ে বলেওনি যে রোগী তার স্ত্রী। তাহলে বিষয়টি হয়তো আলাদা হতো।
পরিচয় না দিলে সেই রোগীর চিকিৎসা হবে না বিষয়টি এমন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সব রোগীকে সেবা দেই, তবে যেহেতু সে আমাদের সহকর্মী তাই তিনি তার স্ত্রীর বিষয়টি বলতে পারতো। তার পরও লিটন গোমেজ যদি অভিযোগ করে তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
আরজেএন
