ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

রাজশাহীতে লিটন ও সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান মেয়র নির্বাচিত

রাজশাহীতে লিটন ও সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান মেয়র নির্বাচিত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বেসরকারিভাবে রাজশাহীতে  নৌকা প্রতীক নিয়ে  এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও  সিলেেেট মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। এ নিয়ে রাজশাহীতে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ভোট গণনা শেষে প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

নৌকার প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন ১ লাখ ৬০ হাজার ১৯০ ভোট পেয়েছেন। অন্যদের মধ্যে লাঙল প্রতীকের সাইফুল ইসলাম স্বপন ১০ হাজার ২৭২, হাতপাতা ১৩ হাজার ৪৮৪ এবং গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী ১১ হাজার ৭১৩ ভোট পেয়েছেন।  এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) চলে ভোটগ্রহণ।

রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এদের মধ্যে এক লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন পুরুষ ভোটার। নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। আর ছয়জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন, ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, আওয়ামী লীগের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম এবং জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার। বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের মেয়রপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুরশিদ আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

অপরদিকে  সিলেেেট আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট। গতকাল বুধবার রাতে এই ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর আগে সকাল ৮টায় সিলেট সিটি নির্বাচন শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়েছেন সাত জন। আগেই নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও জাকের পার্টির জেহিরুল আলম। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আবদুল হানিফ (কুটু), ছালাহ উদ্দিন (রিমন), শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। অপরদিকে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল থেকে কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিলনায়তনে সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ কথা বলেন। পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট সিটিতে নির্বাচন। সিসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। মোট ৪২ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র ছিল ১৯০টি। এর মধ্যে স্থায়ী মোট ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী ছিল ৯৫টি। ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সিসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়।

দুই সিটির নির্বাচনে ঢাকার ইসি ভবনে মোট ২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ৩৬৮টি সিসি ক্যামেরায় ২৫২০টি ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতি ডিসপ্লে দশ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করে ৩৪৫টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ চলে।

সর্বশেষ বরিশাল, খুলনা, গাজীপুর, রংপুর ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা, গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনার ধারাবাহিকতায় রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় চলে ভোটের মনিটরিং।

 


আরজেএন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন