রুপণকে অবাঞ্ছিত করে শিরিন অনুসারীদের বিক্ষোভ


বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপণকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেছে ছাত্রদল এবং যুবদলের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা রুপণের ছবি সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার এবং জুতার মালা পড়ানো ছবিতে অগ্নিসংযোগ করেন।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সদর রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা ও মহানগর ছাত্রদল এবং যুবদলের ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। তবে যারা কর্মসূচি পালন করেছে তারা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিছ আক্তার শিরিন অনুসারী বলে জানা গেছে।
কামরুল আহসান রুপণ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম আহসান হাবিব কামালের পুত্র। তিনি গত ১২ জুন সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে জামানত হারিয়েছেন।
দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ‘নির্বাচনের পূর্বে কামরুল আহসান রুপণ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিছ আক্তার জাহান শিরিনকে নিয়ে উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দিয়েছে। শিরিন আওয়ামী লীগের নির্বাচন করে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তোলেন রুপণ। এ কারণেই শিরিন অনুসারী ছাত্র ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা রুপণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে।
বরিশাল দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সবুজ আকনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন- দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য মুসফিকুল হাসান মাসুম, যুবদল নেতা সাকলাইন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি লিয়ন, নজরুল, বোয়ের, আরিফ সিকদার ও হাবিব সিকদার।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘দলের সঙ্গে বেইমানি করে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে কামরুল আহসান রুপণ। তিনি একজন মীরজাফর। আমরা এই গাদ্দার, বেইমান ও মীরজাফর রুপণকে বরিশাল থেকে বিতাড়িত করবোই, ইনশাআল্লাহ।
প্রতিবাদ সভা শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা রুপণের ছবিতে জুতার মালা সম্বলিত ব্যানার অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানান।
এদিকে, বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ‘রুপণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বর্তমান মেয়রসহ বিলকিছ আক্তার জাহান শিরিনের একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে।
এছাড়া শিরিনের অনুসারী মহানগর বিএনপির সদস্য মুসফিকুল হাসান মাসুম ফেনসিডিলসহ আটকের ছবিও পোস্ট করা হয়। সেখানে মাসুমকে দিয়ে শিরিন মাদক ব্যবসা করান বলে মন্তব্য লিখে দেন। এ নিয়ে শিরিন অনুসারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
আরজেএন
