বিসিসি নির্বাচনের ভোটে ডিজিটাল কারচুপি- তাপস


বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণে ডিজিটাল কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। একই সঙ্গে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন বর্জনের জন্য কেন্দ্রের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল নগরীর অক্সফোর্ড মিশন রোডে নিজ বাসভবন সংলগ্ন নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ আহ্বান করেন তাপস।
তাপস বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বলেছিলেন, বরিশালে তিনি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবেন। কিন্তু তারা তা না করে নগরবাসীর সাথে ডিজিটাল প্রতারণা করেছে। ভোটের ফলাফল আগেই নির্ধারণ করে রেখেছিল। সরকারের সকল সংস্থা ইভিএমর সর্বোচ্চ নগ্ন ব্যবহার করে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিয়েছে বলেও অভিযোগ তার।
তাপস বলেন, সত্য বলায় ফলাফলে আমাকে চতুর্থ স্থানে রাখা হয়েছে। মেয়র পদে বরিশাল সিটি নির্বাচন কেন্দ্রীয় ভাবে প্রভাবিত করে ফলাফল তাদের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভোটের কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অবাধ বিচরণ আমরা দেখেছি। তাদের কারণে ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশসহ অন্যরা ছিল অসহায়। আমার এজেন্টদের অনেক কেন্দ্রে বসতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচন আচরণবিধি সম্পূর্ণ লঙ্ঘণ করেছে আওয়ামী লীগ।
ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, জাতীয় পার্টির ত্রিশ ওয়ার্ডে ১৫১-২৫২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ছিল। এছাড়া ওয়ার্ডগুলোয় যুব সংহতিসহ বিভিন্ন সংগঠনে আমাদের সদস্যরা ছিল। এ ভোটগুলো গেলো কোথায়? বরিশাল সিটি নির্বাচনের ফলাফল আমি প্রত্যাখ্যান করছি। সাথে সাথে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন বর্জনের জন্য কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির কাছে আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
বরিশাল মহানগরী জাতীয় পার্টির আহবায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুলসহ অনেকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরজেএন
