শেষ দিনে বরিশাল নগরজুড়ে প্রার্থীদের জমজমাট প্রচারণা


গতকাল শনিবার বরিশাল নগরজুড়ে জমজমাট ছিল প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। ছিল তাদের নানা রকম তীর্যক মন্তব্যও। শেষ দিনে ভোটারদের মন জয় করতে অন্যদের মতো নানান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। তিনি বলেছেন, নৌকা মার্কা নির্বাচিত হলে বরিশালকে সর্বাধুনিক করা হবে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের দাবি, আওয়ামী লীগ বহিরাগতদের এনে ২০১৮ সালের ভোটের পুনরাবৃত্তির পাঁয়তারা করছে। এদিকে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার বরাদ্দ না দিলে প্রয়োজনে বরিশালকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম। অন্য ৩ প্রার্থীও শেষ দিনে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় নির্বাচনী বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর নবগ্রাম রোডে গণসংযোগ করে নতুন বরিশাল গড়তে নৌকায় ভোট চান তিনি।
এ সময় খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, শুরু থেকেই জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। জনগণ তাকে মেয়র নির্বাচিত করলে নতুন বরিশাল বিনির্মাণ করবেন তিনি। সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশে ভোটের প্রত্যাশা তার। তিনি ১২ জুন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস সকালে নগরীর ভাটারখাল এলাকায় গণসংযোগ করেন। । পরে তাপস বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী বহু সংখ্যক বহিরাগত লোক এনে নগরীতে জড়ো করেছে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম গতকাল সকালে নগরীর হাটখোলা এলাকায় গণসংযোগ কালে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শংকা প্রকাশ করেন। মুফতি ফয়জুল সকল বাধা উপেক্ষা করে ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে হাতপাখা বিজয়ী করার আহ্বান জানান। নির্বাচিত হওয়ার পর সরকার বরাদ্দ না দিলে বরিশালকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দেন তিনি।
জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার ও আসাদুজ্জামান শেষ দিনে প্রচারণায় ঘাম ঝড়িয়েছেন।
সিটি নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৯ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ৪২ জন। এবার মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন। নগরীর ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪টি বুথে ইভিএম মেশিনে ভোট দেবেন তারা। ভোট সুষ্ঠু সুন্দর করতে ইতিমধ্যে সবগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
আরজেএন
