ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

Motobad news

দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৪

দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৪
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

মঞ্চে ওঠা নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় সভাস্থলে চেয়ার ভাঙচুর করে তারা। শুক্রবার সন্ধ্যা নগরীর ভাটারখাল এলাকায় পাবলিক লাইব্রেরী সংলগ্ন মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হলেও তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা হলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান ও অপরজন সুমন ওরফে কৈতর সুমন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নির্বাচন উপলক্ষে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে উঠোন বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সভা চলাকালে ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লা কবীর ও কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয় পক্ষ সভাস্থলে চেয়ার ভাঙচুর করে।

হামলায় আহত সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে আমরা মিছিল নিয়ে উঠোন বৈঠকে আসি। সভাস্থলে প্রবেশের সময় আমাদের বাধা দেয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা শেখর দাস ও তার লোকেরা। একপর্যায় তিনি তার সহযোগীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। শেখর বর্তমান কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লার লোক বলে দাবি তাদের।

তবে হামলায় আহত সুমন ওরফে কৈতর সুমনের স্ত্রীর অভিযোগ করেছেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের লোকেরা হামলা করেছে তাদের ওপর। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শেখর দাস মিছিল নিয়ে উঠোন বৈঠকে আসেন। তিনি সভার মঞ্চে উঠতে গেলে তাকে বাধা দেয় জয়নালের লোকেরা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা আমাকেও মারধর করেছে। তবে শেখর দাস কাউন্সিলর প্রার্থী জয়নালের লোক বলে দাবি করেন হামলার শিকার এই নারী।

এ প্রসঙ্গে কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে দুই পক্ষের ৩-৪ জন কমবেশি আহত হয়েছে। তবে বড় কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস বলেন, ‘আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মিছিল নিয়ে সভায় যোগদান করি। আমি স্টেজে ওঠার সময় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এটিএম শহীদুল্লাহ’র লোক হিসেবে পরিচিত জিলানী এবং খোকন আমাকে স্টেজে উঠতে বাধা দেয়। এ নিয়ে আমার লোকেদের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায় আমার লোকেদের ওপর হামলা করে। এতে তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে আমি কারো লোক হিসেবে নয়, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী হিসেবে ওই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছি।

 


আরজেএন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন