হাতপাখার প্রচারণায় ২১০০ নারী


বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন চরমোনাই পীরের মুরিদরা।
তাদের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন ২ হাজার ১০০ নারী কর্মী। যারা প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে দলবদ্ধভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রতিটি দলে থাকছে ৭০ জন করে নারী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নির্বাচন পরিচালণায় গঠিত গণমাধ্যম সমন্বয় কমিটির সদস্য কেএম শরিয়তউল্লাহ্।
তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিকভাবে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রচারণা শুরু করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মপরিকল্পনা করে আরও বেশি নারীকর্মীরা প্রচারণায় যুক্ত হবেন।
রোববার নগরীর বর্ধিত এলাকা ২৪ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, ‘ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করীমের পক্ষে ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চেয়ে লিফলেট বিতরণ করছেন নারীকর্মীরা। এরা সবাই বোরকা পড়ে, মুখ ঢেকে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন।
গণসংযোগকালে কয়েকজন নারী কর্মী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইসলামী হুকুমত কায়েম করা এবং চরমোনাই দরবারের শায়খে মুফতি সৈয়দ মোহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে হাতপাখায়
ভোট দিয়ে বরিশালবাসীর খেদমতের সুযোগ করে দেয়া।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীর প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমরা প্রচারণায় নেমেছি। কোন টাকা-পয়সার বিনিময়ে নামিনি। মন থেকে ভালোবেসে আমরা তাকে নির্বাচিত করতে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাইছি।
ওই টিম লিডার আরও বলেন, মানুষের ধারণা, চরমোনাই পীরের হাতে যদি শাসন থাকে তাহলে হযরত ওমর (রা.) এর শাসন ব্যবস্থার মতো সুশাসন নিশ্চিত হবে। এজন্যই মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীকে ভোট দেবে।
অপরদিকে, মেয়র প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, গণসংযোগে মানুষ যেভাবে আমাকে আশ্বস্ত করছে তাতে আমার মনে হচ্ছে মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবো। নির্বাচন কমিশনের বিগত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনগুলোর কারণে আমরা ফলাফল হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত শঙ্কামুক্ত নই।
আরজেএন
