আমতলীতে ৪০টি সেতু চলাচলের অনুপযোগী, দুর্ভোগ জনসাধারনের


বরগুনার আমতলী উপজেলায় প্রায় ৪০টি সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বরগুনার আমতলীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত লোহার ৪০টি সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলাটিতে ১০টি সেতু ভেঙে পড়ে আছে। এ কারণে এসব এলাকার লোকজন ভোগান্তিতে রয়েছে।
স্থানীয়রা সেতুগুলো নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য দাবী জানিয়ে আসছেন। এরপরও এসব সেতু সংস্কার বা পুননির্মান করা হচ্ছে না।
আমতলীর চাওড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খান বলেন, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সেতু ভেঙে পড়ে আছে। এসব সেতু দ্রুত নির্মাণের জন্য এলজিইডির প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলব।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়,১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে এলজিইডির ‘হালকা যান চলাচল প্রকল্পের’ অধীনে এসব সেতু নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে আমতলীর ৪০টি সেতু চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
এলাকার লোকজন জানান, নির্মাণের পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়ায় সেতুগুলো জরাজীর্ণ হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডর ও ২০০৯ সালে আইলাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোর্গে অধিকাংশ সেতু ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেতুগুলোর সিমেন্টের স্লিপার, হাতল ও অবকাঠামো ভেঙে পড়ে। অনেক স্থানে সেতুর হাতল, অ্যাঙ্গেলসহ মালামাল চুরি হয়ে যায়।
কয়েক দিন ঘুরে দেখা যায়, আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া, হলদিয়া হাট, আঠারোগাছিয়া, তাফালবুনিয়া ও কালামপুর মরিচবুনিয়া এলাকার সেতুগুলোর হাতল, অ্যাঙ্গেল ও মেঝেতে ফাটল ধরেছে। গুলিশাখালী উত্তর ডালাচারা এলাকার মোল্লা বাড়ির সামনের সেতুটির নিচের লোহার কাঠামোয় মরিচা ধরেছে। বাইনবুনিয়া নদী ও দক্ষিণ তক্তাবুনিয়ার বাঁশবুনিয়া খালের ওপরের সেতু দুটি ভেঙে পড়ে আছে। এসব ফাটলে কাঠের গুড়ি দিয়ে মেরামত করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,সেতুগুলো পুন:নির্মানের জন্য এলজিইডি বরগুনা ও ঢাকা অফিসে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রাফুল আলম বলেন, ব্যবহারের অনুপযোগী ও ধসে পড়া সেতুগুলো নির্মাণের জন্য এলজিইডির কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এসব সেতু জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণ করা দরকার বলে ভুক্তভোগীরা দাবী জানিয়েছেন।
আরজেএন
