ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

সেপেটম্বরে ভারতের সঙ্গে টাকা-রুপিতে বাণিজ্য, ঘোষণা শিগগিরই

সেপেটম্বরে ভারতের সঙ্গে টাকা-রুপিতে বাণিজ্য, ঘোষণা শিগগিরই
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভারতের সঙ্গে মার্কিন ডলারের পাশাপাশি টাকা ও ভারতীয় মুদ্রা রুপিতে বাণিজ্য করবে বাংলাদেশ। ‍এই ব্যবস্থা সেপ্টেম্বর মাসে শুরুর লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে দুই দেশ।

এ সম্পর্কিত টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ চলছে, শিগগিরই ঘোষণা আসবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পার্থক্য অনেক। রুপির মাধ্যমে বাণিজ্য হলেও আমদানি-রপ্তানিকারকরা সুবিধা মতো মুদ্রাতে ব্যবসা করবে।

প্রয়োজনীয় লেনদেনে ব্যাংকিং বিষয়গুলো নিয়ে কাজ চলছে, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবের মাসের মধ্যে এটা শুরু হবে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশে দেশে মার্কিন ডলার নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক দেশই ডলারের পাশাপাশি বিকল্প মুদ্রা খোঁজা শুরু করে। এ সময়ে বাংলাদেশেও ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। সংকট উত্তরণে আমদানি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভারতের সঙ্গে বিকল্প মুদ্রায় বাণিজ্য শুরু করতে যাচ্ছে দুই দেশ।

গত বছরের ২২-২৩ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য বিষয়ক দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে, ভারত উভয় দেশের জন্য বাণিজ্যের মাধ্যম হিসেবে রুপি চালু করার প্রস্তাব করেছিল। সে সময় ভারতের পক্ষ থেকে প্রস্তাবটি তোলা হয়েছিল।

পরবর্তীতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি দেশে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সে সময় তিনি সে কোনো সীমা উল্লেখ করেননি।

এরপর চলতি বছরের ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত জি-২০ দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠকের ফাঁকে বিনিময় মুদ্রা হিসেবে ডলারের বিকল্প বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে এ ধরনের ব্যবস্থার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে ভারত-বাংলাদেশ।

ভারতের সঙ্গে রুপি ও টাকাতে বাণিজ্যে শুরু হলে বাংলাদেশ যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে তার সমপরিমাণ পণ্য ও সেবা আমদানি করতে রুপি বা টাকা ব্যবহার করতে পারবে। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য কিছুটা সহজ হবে বলে মনে করছেন অধ্যাপক ড. এমএ রাজ্জাক।

এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ হিসেবে রুপিও সংরক্ষণ করতে পারবে। যেহেতু ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য হবে এবং প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক মানুষ ভারতে যায়। তারা রুপির ব্যবহার করে। এতে রিজার্ভ সংরক্ষণের জন্য একটি ক্রেডিবল মুদ্রা হিসাবে গণ্য হবে রুপি।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কাজটির প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছে। দুই পক্ষ প্রস্তুত থাকলে খুব তাড়তাড়ি ছোট একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এর উদ্বোধন হবে। এটি কতটুকু  জনপ্রিয়তা পাবে না-পাবে, সেটি পরের বিষয়। তবে এটি হচ্ছে এবং খুব তাড়াতাড়ি।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন