বরগুনায় ছাত্রী ধর্ষণের দায়ে শিক্ষকের যাবজ্জীবন


বরগুনায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক শিক্ষককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ মে) দুপুরে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মশিউর রহমান খান এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক আবদুল লতিফ (৪৫) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার গহরপুর গ্রামের মৃত হামেদ উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এ মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। উচ্চ আদালতেও এ রায় বহাল থাকবে বলে আশা তার।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৭ মার্চ রাতে আব্দুল লতিফের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে যায় ওই ছাত্রী। পড়া শেষে রাত বেশি হলে লতিফের বাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ে ওই ছাত্রী। এ সুযোগে রাতে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন লতিফ। এতে রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। পরে ওই ছাত্রীর মাকে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর জানান লতিফ। পরে সেখানে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে পাথরঘাটা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
পরে ওই বছরের ১৬ মার্চ লতিফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ছাত্রীর মা। মামলায় লতিফকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ৩০ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এইচ এম সিদ্দিকুর রহমান।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. আব্দুল মোতালেব মিয়া বলেন, ‘রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
টিইউ
