শর্ত সাপেক্ষে ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে রাজি পাকিস্তান


এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ নিয়ে কঠিন সিদ্ধান্তে যেতে চায় পাকিস্তান। ৮ মে (সোমবার) দুবাইতে এসিসি ও আইসিসি প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবে পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ চায় পিসিবি।
২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারত পাকিস্তানে যাবে তার লিখিত দিলে আসন্ন বিশ্বকাপ খেলতে ভারত যাবে পাকিস্তান। এমন একটি আলোচনা হয়েছে পাকিস্তানের বোর্ড কর্তা এবং কূটনৈতিকদের মাঝে।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ভারত পাকিস্তানের বৈরিতা রাজনীতি ছাপিয়ে আঁছড়ে পরেছে খেলার মাঠেও। যার ফলে দুই দলকে নিয়মিত দেখা যায় না ক্রিকেট ম্যাচে। এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ছাড়া মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ নেই দুই দলের।
সেই পথও বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আসন্ন এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা পাকিস্তানের মাটিতে। যা নিয়ে তৈরী দরকষাকষি চলছে দুই দেশের মাঝে। এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে সফর করতে চায় না ভারত। ফলে এখনো ঝুলে আছে এশিয়া কাপের সময় সূচি।
এদিকে ৮ মে দুবাইতে এসিসি এবং আইসিসি কর্তাদের সঙ্গে সভা করবেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নাজাম শেঠী। তার আগে পাকিস্তানের উচ্চপর্যায়ের কর্তাদের সঙ্গে সভা করেছেন পিসিবি প্রধান। দুই দেশের ক্রিকেট সমস্যা সমাধানে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। তবে কি ধরণের কূটনৈতিক আলোচনা হবে, সে ব্যাপারে এখনো পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি।
তবে রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা থেকে যে সিদ্ধান্ত এসেতে তা হলো, পাকিস্তান আসন্ন বিশ্বকাপে ভারত সফর করতে রাজি রয়েছে। তবে একটা শর্ত জুড়ে দিতে চায় তারা। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। ভারত লিখিত স্বাক্ষর দিয়ে বলবে যে, আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তান সফর করবে তারা। আইসিসি এবং ভারত দুই পক্ষ থেকে এই নিশ্চয়তা চায় পাকিস্তান। অন্যথায় তারা বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে পারে।
তবে এশিয়া কাপ নিয়েও কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চায় তারা। আর কোন টালবাহানা নয়। এবারের বৈঠকে একটি তারিখ নির্ধারণ করতে চায় আসন্ন এশিয়া কাপের। একই সঙ্গে পাকিস্তানের দেয়া হাইব্রিড মডেল মেনে নিতে হবে ভারতকে।
৮ মে বৈঠকের পর ঘোষণা আসতে পারে বিশ্বকাপের সূচিরও। যেখানে আহমেদাবাদের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়ামে রাখা হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। তবে সবকিছু নির্ভর করছে বৈঠকের সুফলের উপর। পাকিস্তান যেভাবে পরিকল্পনা করে রেখেছে তাতে ভারত স্বায় না দিলে আবারো পিছিয়ে যেতে পারে এশিয়া কাপের তারিখ নির্ধারণ।
টিইউ
