অগ্নিকাণ্ডে বই পুড়ে ছাই, কীভাবে পরীক্ষা দেবে তিথি


চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে তিথি নাগ। বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয়পত্র এবং ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অভাবের সংসারেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে সে। আগামী রোববার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। তবে হঠাৎ তা ওলটপালট হয়ে গেছে বুধবার পটুয়াখালী শহরের পুরান বাজার এলাকায় ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ডে।
আগুনে তিথিদের ঘরটি পুড়ে গেছে। সঙ্গে পুড়েছে তার বইপত্র, খাতা-কলমসহ শিক্ষা উপকরণ। আগুন লাগার পর এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হয় মা-মেয়ে। এতে অনিশ্চয়তায় পড়েছে তিথির বাকি ৯টি পরীক্ষা। কীভাবে বইপত্রসহ শিক্ষা উপকরণ কিনবে, তা ভেবে দিশেহারা সে।
দিনে তিনবেলা খাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই, সেখানে বইপত্র কেনার কথা ভেবে তিথি ও তার মা অনিতা রানী কান্নায় ভেঙে পড়ে। সে লাউকাঠী শহীদ স্মৃতি বিদ্যানিকেতন থেকে মানবিক বিভাগে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। স্বামী পরিত্যক্তা মা অনিতার সঙ্গে ছোট ভাড়া বাসায় থাকে সে। মা ক্লিনিকে আয়ার কাজ করেন।
তিথি নাগ বলছিল, ‘আগুনে আমার সব বই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কীভাবে আমি পরীক্ষা দেব? খাতায় কী লিখব?’ মা অনিতা রানী বলেন, ‘স্বামী খোঁজখবর নেন না। তিনবেলা খাইয়া না খাইয়া মেয়েকে লেখাপড়া করাইছি। এহন মেয়ের পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ হইয়া যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিথি যাতে বইপত্রসহ শিক্ষা উপকরণ কিনে পরীক্ষা চালিয়ে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে।
এইচকেআর
