ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

গলাচিপায় নদীভাঙনের হুমকিতে তিন গ্রাম

গলাচিপায় নদীভাঙনের হুমকিতে তিন গ্রাম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পটুয়াখালীর গলাচিপায় নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে তিনটি গ্রাম। হুমকির মুখে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর, উপাসনালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা। বেড়িবাঁধের রাস্তায় ফাটল দেখা দেওয়ায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

ভাঙনকবলিত এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, গলাচিপা নদীর তীরে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম আটখালী, ডাকুয়া ও হোগলবুনিয়ায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। গলাচিপা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ওপর পাকা সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে উপজেলা সদর থেকে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন, পটুয়াখালী জেলা সদর, দশমিনা ও বাউফল উপজেলার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ গড়ে উঠেছে। সেই বেড়িবাঁধের রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তাটি যে কোনো সময় নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

এলাকাবাসী জানান, দ্রুত নদী শাসনের ব্যবস্থা না করা হলে বর্ষা মৌসুমেই নদীতে চলে যাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবরস্থান। ভাঙনের মুখে রয়েছে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, জৈনপুরী পীর সাহেবের খানকা, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, গলাচিপা-কলাগাছিয়া সংযোগ সড়কের একাংশ, গলাচিপা-চরচন্দ্রাইল সংযোগ সড়কের একাংশ, পাঁচটি মসজিদ, দুটি মন্দির ও তেঁতুলতলা বাজার। এ ছাড়া রয়েছে ২০০ বছরের পুরোনো জমিদারবাড়িসহ বহু বাড়িঘর ও ফসলি জমি।

নদী শাসনের ব্যবস্থা না করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) দু’বার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। এতে কয়েকশ একর জমির ক্ষতি হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দুবারই বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এরই মধ্যে এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রতি জোয়ারেই নোনাপানি ঢোকায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে, ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ।

আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী প্রধান শিক্ষক দীপক নারায়ণ ভূঁইয়া জানান, তাঁরা আর বেড়িবাঁধ চান না। তাঁদের একটাই দাবি, নদী শাসনের মাধ্যমে ভাঙন রোধ।

ডাকুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত রায় জানান, নদী শাসন ও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ না করা হলে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রায় ২০০ কোটি টাকার সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানার সম্পদ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

গলাচিপার ইউএনও মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, পাঁচ ইউনিয়নের যোগাযোগের জন্য বিকল্প পথ চালু করা হয়েছে। ভাঙনরোধে উপজেলা প্রশাসন ও পাউবোর সহযোগিতায় এক হাজার জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিয়েছেন।

পটুয়াখালী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন জানান, উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। স্থায়ী ভাঙনরোধে দেয়াল নির্মাণকাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন