ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

এক মাস ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাউফলে ফিরলেন উপজেলা চেয়ারম্যান

 এক মাস ১০ দিন চিকিৎসা শেষে বাউফলে ফিরলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে জখমের ঘটনার ১ মাস ১০ দিন পর বুধবার এলাকায় এসেছেন। এসে তাঁর ওপর হামলার প্রতিবাদে উপজেলা সদরের শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামে আয়োজিত সমাবেশে অংশ নেন তিনি।  বেলা ১১ টায় প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয়। চলে দুপুর দুইটা পর্যন্ত। এতে অসংখ্য মানুষ যোগ দেন।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন ফরাজি। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো. জিয়াউল হক। 
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এসএম ইউসুফ, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উত্তম গাঙ্গুলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শিপন। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা আবদুল মোতালেব হাওলাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তারা। একই সাথে সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ এ ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয় সমাবেশে। 

গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত পৃথক কর্মসূচিকে ঘিরে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ হয়। 

এতে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ওই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

ঘটনার ১৪ দিন পর ২ এপ্রিল বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই হামলার ঘটনায় মামলা করেন। উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ ওরফে মনির হোসেন মোল্লা মামলার ১ নম্বর আসামি। মামলায় মোট ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিরা সবাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের অনুসারী। তাঁদের মধ্যে দুজন হলেন তাঁর ভাতিজা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে আবদুল মোতালেবের নেতৃত্বে ১০-১৫ হাজার নেতা-কর্মী আনন্দ র্যালি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের (জনতা ভবন) দিকে যাচ্ছিলেন। 

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের গেটের পূর্ব পাশে পৌঁছালে গাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের সামনে তাঁর দুই ভাতিজার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে আবদুল মোতালেব গুরুতর আহত হন। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন