আমতলীতে চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি


বরগুনার আমতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাড: এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনি।
সোমবার বেলা ১২ টার সময় গুলিশাখালীর বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড: এইচ এম মনিরুল ইসলাম মনির ল’চেম্বারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গেজেট ভূক্ত রাজাকারের ছেলে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়াম্যান এ্যাড. মো. নুরুল ইসলাম আমাকে গত ১১ এপ্রিল মঙ্গগলবার বেলা দেড়টার সময় আমতলী ফেরিঘাট দেখে তার লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ।
এ ঘটনায় আমি আমতলী থানায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ১৬ এপ্রিল সাধারণ ডায়েরী করেছি। এঘটার পর থেকে আমি এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। নুরুল ইসলাম কখন আমাকে মেরে ফেলে। তিনি বলেন, আমার এবং আমার বড় ভাই ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সত্তারের বিরুদ্ধে অসত্য মিথ্যা ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দিয়ে ১৫ এপ্রিল বরগুনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য রেখেছেন তা সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট। ৪০দিন কর্মসূচীর যে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন তা তালিকার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন নয়। বরং বিগত ১০ বছর ইউপি চেযারম্যান থাকা কালে এ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম নামে-বেনামে এবং জাল স্বাক্ষরে মাস্টারোল তৈরি করে কাজ না করে একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে চেকের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা আত্মাসাৎ করেছে। যা সুষ্ঠ তদন্ত করলে সত্যতা প্রমানিত হবে।
তিনি আরো বলেন, এ্যাড. মো. নুরুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে গুলিশাখালী বাজার মসজিদের নামে বরাদ্দ করা টাকার কাজ না করে আইন বর্হিভূত ভাবে সে টাকায় তার নিজ বাড়ীর মসজিদে কাজ করেন। মসজিদটিতে মুসল্লি না থাকায় সে মসজিদটি এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে আছে।
এছাড়া এ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় খেকুয়ানী স্কুলের মাঠ ভরাট, খেকুয়ানী গাজী বাড়ীর সামনের রাস্তা মেরামত, পূর্ব কলাগাছিয়া মাদ্রাসার মাঠ ভরাট, কালিবাড়ি ধোপা বাড়ি সংলগ্ন খালের ব্রিজ নির্মান প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে কোটি কোটি টাকা অত্মসাৎ করেছেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. মো. নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্টমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা বারেক চৌকিদার, প্রধান শিক্ষক কাজী মোজাম্মেল হোসেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা মনিন্দ্র চন্দ্র শিল, গুলিশাখালী ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যগণ।
এইচকেআর
