ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

বরিশাল সিটি নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকা!

বরিশাল সিটি নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকা!
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নতুন মুখ আবুল খায়ের সেরনিয়াবাত খোকন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে মহানগর রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে এবং রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও তৃণমূলের সাথে আগে কোনো যোগাযোগ না থাকায় এসব আলোচনা শুরু হয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনীতির সমীকরণে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। তবে এই শহরে এতো কম সময়ে কীভাবে দলে অবস্থান সৃষ্টি করে নির্বাচনে বিজয়ী হবেন, সেটাই এখন তাঁর বড় চ্যালেঞ্জ।

তারা বলছেন, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হলেও মহানগর আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ব তাঁরই নিয়ন্ত্রণে। তাই নতুন প্রার্থী এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবেন, তা নিয়ে হিসেব মেলাচ্ছেন অনেকে।

সচেতন নাগরিক কমিটি বরিশাল জেলার সভাপতি অধ্যাপক গাজী জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাদের অনেক ভোট রয়েছে। পাশাপাশি ইসলামী ঐক্যজোটসহ আওয়ামী লীগের বিরোধী বিভিন্ন দলেরও অনেক ভোট। তাই আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধ মেটাতে না পারে, তবে ভোটের ফলাফলে জয়-পরাজয়ে বিরাট প্রভাব পড়বে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, ‘তৎকালিন মেয়র শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুতে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়ে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ। পরে দলের হাল ধরেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর জ্যেষ্ঠপুত্র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।  

এ জন্য প্রথমে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। সেখান থেকে গত ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তবে এবার বিভিন্ন কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হন সাদিক।

এদিকে, আবুল খায়ের সেরনিয়াবাত খোকন মনোনয়ন পাওয়ার পর বরিশাল নগরীতে আনন্দ মিছিল এবং মিষ্টি বিতরণ করেন নগরীর ১০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও তাদের অনুসারীরা। প্রকৃতপক্ষে এরা সবাই জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মনোনয়ন ঘোষণার পরে তার অনুসারীদের অতি উৎসাহী কর্মকাÐ দলের মধ্যে নতুন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন দলীয় নেতারা।

মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলছেন, ‘দলীয় মনোনয়ন না পেলেও আসন্ন সিটি নির্বাচনে সাদিক আবদুল্লার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ তিনি এখনো মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।  

বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ও মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহামুদুল হক খান মামুন বলেন, ‘খোকন সেরনিয়াবাত মনোনয়ন পাওয়ার পর নগরীতে যা হয়েছে, তা তাদের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। তবে তারা যা করতেছে, তা ঠিক নয়। 

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মনোনয়ন ঘোষণার পরে নগরীতে যা ঘটলো তাতে মনে হলো আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে। এজন্য তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় হুমকি এবং দখল শুরু করেছে। তাদের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। 

তিনি বলেন, আমরা মহানগর আওয়ামী লীগ আগের মতোই সুসংগঠিত। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আমরা সঠিক ভাবে পালন করবো।
 


টিইউ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন