সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন উপকূলের মানুষ


বরগুনার অমতলীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবার চালাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষ। কোনোমতে খেয়েপরে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের একটি গ্রাম পূর্বচিলা এ গ্রামের মানুষরা মূলত কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে শুকনো মৌসুমে তাদের কেউ কেউ পেশা পাল্টে ফেলেন। সংসার চালাতে কেউ কেউ বেছে নেন দিনমজুরির কাজ। পূর্বচিলা গ্রামের বাসিন্দা মিলন মিয়া তিনি পূর্বপুরুষের পেশা কৃষি কাজকে আকড়ে ধরে সংসার চালাচ্ছেন।
চার ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের ৫ সদস্যের পরিবার তার আয়ে চলে। সংসার কীভাবে চলছে জানতে চাইলে মিলন মিয়া বলেন, খুব কষ্টের মধ্যে সংসার চালাতে হচ্ছে। একদিকে তো আয় নেই। অন্যদিকে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, আমাদের মূল পেশাই কৃষি। এখন কষ্ট করে সংসার চালাতে হচ্ছে। কখনো ধারদেনা করতে হচ্ছে। বাজারে জিনিসপত্র কিনতে গেলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়। কোনোমতে খেয়েপরে বেঁচে আছি। সামনে ঈদ আসছে। তখন ধারদেনা করে চলা ছাড়া উপায় নেই।
পশ্চিমচিলার আলেয়া বিবির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। তিনি বলেন, জিনিসপত্রের যে দাম বাড়ছে। এই যে রোজায় মাংস চোখে দেখিনি। এখন কেনার সাধ্য আমাদের নাই। কোনোমতে চাইট্টা ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। টেপুরা গ্রামের নান্না মিয়া বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম। এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। সরকারেরও কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি।
চন্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা আবুল আলী বলেন, তিনি বাজারে মাছ বিক্রি করে সংসার চালান। আগের মতো ব্যবসা ভালো নেই। রোজামাসে একবার মুরগী কিনছি। গতবার দাম কম ছিল। কয়েকবার কিনে খেয়েছি। কিন্তু এভাবে কয়দিন চলবো জানি না। এ ভাবে উপকুলের মানুষজন প্রতিদিন প্রকৃতির সাথে লড়াই করে জীবন যাপন করছেন।
টিইউ
