বরগুনার উরবুনিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত ৭


'তোগো পাও দরছি, ছাইড়া দে মোগো, হেরপরও খালি কোপায় আর কোপায়' আসলাম খাঁর এমন গগনবিদারী চিৎকারে কিশোর গ্যাংয়ের মন গলেনি। আসলাম খাঁর দুই সন্তানক এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চম্পট দেয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
কিংশোর গ্যাংয়ের অতর্কিত ছুরিকাঘাতে ফসলের মাঠেই রক্তাক্ত হয়েছেন বরগুনা সদরের ৯ নং ইউনিয়নের উরবুনিয়া গ্রামের আসলাম খাঁর ছেলে রহমান (২২) ও ইউসুফ (২০)। মারাত্মক আহত হয়েছেন আরো ৫ জন। ইতোমধ্যেই গুরুতর জখম হওয়া রহমানকে বরিশাল শেবাচিমে রেফার্ড করা হয়েছে। অতর্কিত হামলার পরে আহতদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে জেলখানা গ্রামের নজরুল ইসলাম ম্যালকারের ছেলে মেহেদীকে আটক করে।
উরবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আজবাহার বলেন ' আমি পাশেই তরমুজ ক্ষেতে কাজ করছিলাম। তখন চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখি এই মেহেদি ছেলেটা ক্ষুর বের করে আব্দুর রহমানকে ৪ টা পোঁচ দিছে। অন্যদিকে দশ পনেরজন ইউসুফকে মারতেছে। আমি গিয়া ধরছি, আমার গায়েও রক্ত লাগছে। এলাকাবাসী আসলে সবাই পলাইছে আর মেহেদীরে আমরা ধরে রাখছি। '
একি গ্রামের বাসিন্দা পলাশ জানান, 'আমি দেখছি মেহেদী কুপিয়ে একটা ছুরি বা ক্ষুর জাতীয় একটা কিছু ফালাইছে। আর সাথের সবাই সেটা নিয়ে দৌড় দিছে' ।
উরবুনিয়া গ্রামের ফসলের মাঠে কৃষকের এখন তরমুজ, ডালসহ নানা ধরনের ফসল রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের এমন হামলায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, ' কিশোর গ্যাংয়ের তান্ডব এলাকায় রীতিমতো ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। আমরা না থাকলে রহমান ও ইউসুফদের বাঁচাতে পারতাম না।'
এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়া ডিএন বালিয়াতলী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মেহেদী জানান,' পূর্ব শত্রুতার জেরে তারা রহমান ও ইউসুফকে কুপিয়েছে, আমার সাথে কামরুল ম্যালকারের ছেলে শাকিল, জব্বার আকনের ছেলে রহিম, সালাম খাঁর ছেলে অনিক, রায়েরতাভোগ গ্রামের ফেরদৌস, নয়ন সহ দশ বারোজন হামলায় অংশ নেয়।'
৯ নং ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য নসির মজলিস জানান, কোপাকুপির ঘটনা মুঠোফোনে শুনে আমি ঘটনাস্থলে চলে আসি এবং গণপিটুনি থেকে আটককৃত কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে উদ্ধার করি। এখন প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে তারা আসলে আটককৃত কিশোর গ্যাংকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হবে।
এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আলী আহমদ জানান,' থানা থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়ছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'
এইচকেআর
