দশমিনায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’


পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আফরিন (১৪) নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গলায় ফাঁস দিয়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা-মা। মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আফরিন ওই এলাকার মো. আলামীন তালুকদারের মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আফরিন প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট শেষে সবার অজান্তে বাড়িতে আসে। কিছুক্ষণ পর তাঁর মা ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান মেয়েকে।
এ সময় চিৎকার শুরু করলে লোকজন ছুটে আসে। পরে ওড়না কেটে নামিয়ে তাকে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিয়া খায়ের মৃত ঘোষণা করেন।
আফরিনের মা মোসা. ফাতেমা বলেন, ‘আমার মেয়ে (আফরিন) প্রতিদিনের মতো সকালে প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট শেষে ঘরে কখন আসে আমি পাশের বাড়িতে থাকায় দেখিনি। ঘরে মধ্যে ঢুকে দেখি আফরিন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। চিৎকার করলে লোকজন এসে নামিয়ে তারপর দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে আসি। গলায় ফাঁস দেওয়ার কোনো কারণ দেখি না। কী কারণে গলায় ফাঁস দিছে বুজতে পারছি না।’
আফরিনের বাবা মো. আলামীন তালুকদার বলেন, মেয়ে পড়াশোনায় ভালো। সকালে প্রাইভেট পড়তে যায়। দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাদিয়া খায়ের বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই আফরিন মারা যায়। আফরিনের মরদেহ দশমিনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দশমিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবিদ গোলদার বলেন, ঘটনা শুনে হাসপাতালে এসে আফরিনের বাব-মাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় কোনো কারণ জানা যায়নি। আফরিনের মরদেহ হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, আফরিনের মরদেহ থানায় আনা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। দশমিনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হবে।
এইচকেআর
