আমতলী উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন নির্মাণে অনিশ্চয়তা!


ভবন নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও আমতলী উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইফটি-ইসিটিএল প্রাইভেট লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাফিলতি করে ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও ভবণের নির্মাণ কাজ শুরু না করে উল্টো ভবন নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করে না দেয়ার অযুহাত দেখিয়ে ঠিকাদার কাজ করবে না মর্মে জামানত টাকা (পে-অর্ডার) ফেরত চেয়ে উপজেলা প্রকৌশল অফিসে আবেদন করেছেন। এতে অনিশ্চিত হয়ে পরেছে উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ।
উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে আমতলী উপজেলা পরিষদ ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে ওই ভবনে স্থান সংঙ্কুলান না হওয়ায় অতি কষ্টে উপজেলা প্রশাসনের দপ্তর প্রধানরা তাদের দাপ্তরিক কাজ-কর্ম এবং জনসাধারণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সরকারী দপ্তর প্রধানদের কষ্ট লাগবে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর উপজেলা প্রশাসনিক সম্প্রসারিত নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর ৭ কোটি ২৬ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮২২ টাকা বরাদ্দ দেয়।
ওই ভবন নির্মাণের জন্য গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারী এলজিইডি দরপত্র আহবান করে। পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার মেসার্স ইফটি-ইসিটিএল প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৫৪ লক্ষ ৭ হাজার ৩৪০ টাকা ব্যয়ে ওই ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায়।
ওই বছর ৮ মে ভবণের নির্মাণ কাজ শুরু করার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত ১০ মাসেও নির্মাণ কাজ শুরু করেনি। উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে বেশ কয়েক বার ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ভবন নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করতে পত্র দিলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তা আমলে নেয়নি। উল্টো চলতি বছরের ৯ মার্চ ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিরাজুল ইসলাম আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কাজের জায়গা নির্ধারণ করে না দেওয়ার অযুহাত দেখিয়ে কাজ করবে না মর্মে তার জমাকৃত জামানত টাকা (পে-অর্ডার) ফেরত চেয়ে আবেদন করেন।
কিন্তু অভিযোগ রয়েছে জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিরাজুল ইসলামের গাফিলতির কারনেই অদ্যবদি ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। এতে আমতলী উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের সম্প্রসারিত ভবনের নির্মাণ কাজ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
ওই বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইফটি-ইসিটিএল প্রাইভেট লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিরাজুল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আলম মামুন বলেন, নির্ধারিত জায়গায় কাজ শুরু করতে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে বেশ কয়েকবার পত্র দিয়েছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার গাফিলতি করে কাজ শুরু না করে উল্টো ভবন নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ করে না দেয়ার অযুহাত দেখিয়ে কাজ করবে না মর্মে জামানত টাকা (পে-অর্ডার) ফেরত চেয়ে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে আবেদন করেছেন। তিনি আরো বলেন, জামানত টাকা উপজেলা প্রকৌশলীর অনুকুলে আনতে বাংলাদেশ বাংকের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।
বরগুনা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জী বলেন, আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর থেকে ঠিকাদারকে ভবনের কাজ শুরু করতে একাধিকবার পত্র দিয়েছে কিন্তু ঠিকাদার গাফিলতি করে কাজ শুরু করেনি। বিষয়টি আমরা দেখছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম মুঠোফোনে বলেন, জায়গা নির্ধারণ করে দেওয়ার পরেও উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবনের নির্মাণ কাজ এখনো ঠিকাদার শুরু করেনি। জামানত ফেরত চেয়ে আবেদনের বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
