পাথরঘাটায় বাবার সমাধির পাশেই ঝুলছিল ছেলের মরদেহ


বাবা মারা গেছেন আট বছর আগে। তার আগে মারা যান মা। পংকজ ও আশা রানী দম্পতির একমাত্র সন্তান প্রদীপও (১৫) বাবা-মায়ের পথেই চলে গেলেন। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) সকালে বাবার সমাধির পাশে একটি নিমগাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, প্রদীপের বাবা পংকজ আমার বন্ধু ছিল। সে মারা যাওয়ার আগে স্ত্রী আশা রানীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়, সে-ও মানসিক রোগী ছিল। একমাত্র সন্তান প্রদীপের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিই। কিন্তু পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো রকম লেখাপড়া করলেও মায়ের মতো মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে সে।
স্বজনরা চিকিৎসা করালেও তেমন সুস্থ হয়নি। হঠাৎ সকালে প্রদীপের লাশ তার বাবার সমাধির পাশে একটি নিমগাছের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায়। মনে হচ্ছে, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার কর্তব্যরত উপপরিদর্শক (এসআই) জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের পর বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী।
এইচকেআর
