ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news
উজিরপুরের কমিটি গঠনে অনিয়ম

বরিশাল জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে তারেক রহমানের কাছে তিনটি অভিযোগ

 বরিশাল জেলা বিএনপির বিরুদ্ধে তারেক রহমানের কাছে তিনটি অভিযোগ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একই সমিটির সদস্যরা। পৃথক তিনটি অভিযোগপত্রে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অসাংগঠনিক কার্যক্রম এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করা হয়েছে।

বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উজিরপুরের ধামুরা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কাওসার মজুমদার গত ২২ মার্চ পৃথক তিনটি অভিযোগ করেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চলতি বছরের গত ২০ মার্চ উজিরপুর উপজেলা বিএনপির ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়। তবে ঘোষণার দুই ঘণ্টা না যেতেই দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবুল হোসেন খান ওই কমিটি স্থগিত করে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করেন। তবে এর পরদিনই অর্থাৎ ২১ মার্চ নতুন করে ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করেন জেলা বিএনপির ওই নেতা। সেই কমিটি প্রকাশের তারিখ দেয়া হয় ২০ মার্চ।

লিখিত অভিযোগে তিনি দাবি করেছেন, ‘এই কমিটিতে শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এমনকি বাকি পদগুলোতেও শুধুমাত্র জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য সান্টু অনুসারীদের জায়গা হয়েছে। তাছাড়া উজিরপুরে থেকে যারা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটিতে রয়েছেন তাদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা বা যোগাযোগ না করেই ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অভিযোগ বলা হয়েছে, আহ্বায়ক মনোনিত করা সান্টু ৪-৫ বছর পর্যন্ত দেশের বাইরে আয়েশী জীবন যাপন করছেন। ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম আলা উদ্দিন প্যারালাইজড হয়ে দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ। ৩ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার মল্লিক জীবনে কখনো বিএনপি এমনকি অঙ্গ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

৭ নম্বর যুক্ত আহ্বায়ক সাহিন হাওলাদার সর্বহারা দলের সাবেক সক্রিয় সদস্য। ২০১৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে বিএনপিতে যোগদান করেন। একই বছরের ২৮ মে গুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু প্রভাব খাটিয়ে শাহিনকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেন। তবে শাহিন বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতার বাসায় গিয়ে তার দলে যোগদানের প্রতিশ্রুতি দেন। এর পরেও তাকে গুঠিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব দেন সান্টু। তাদের চার ভাইয়ের মধ্যে তিনজনই আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

অপর যুগ্ম আহ্বায়ক জালাল মল্লিকের বাবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এমনকি তারা পরিবারিকভাবে আওয়ামী পরিবার। এরবাইরেও অনেককে নেতা করা হয়েছে যারা কখনই বিএনপি সঙ্গে জড়িত ছিল না। অথচ তাদের খুশি করতে দলের ত্যাগি এবং নির্যাতিত নেতাদের কমিটিতে জায়গা দেয়া হয়নি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান বলেন, ‘উজিরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটি নিয়ে অভিযোগ আমিও পেয়েছি। তবে উজিরপুর উপজেলা বিএনপি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ সকলের সঙ্গে আলোচনা করে সম্মেলনের মাধ্যমে করা হয়েছে। সেখানে যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি নিজেও ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘কমিটিতে আব্দুল মান্নান মাস্টার এবং শরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু দুজন আহ্বায়ক প্রার্থী ছিলেন। এদের মধ্যে থেকে আব্দুল মান্নান মাস্টার তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে সান্টু সাহেবকে আহ্বায়ক ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা নেতার সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়ে থাকে। সান্টু সাহেব যেহেতু ওই এলাকা থেকে নির্বাচন করেন সেহেতু তার মতামতের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এখন যারা কমিটিতে খুশি হতে পারছে না তারা অভিযোগ করছে।


 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন