মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগারদের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়


ঢাকার মিরপুরে আজ (রোববার) সিরিজের দ্বিতীয় শ্বাসরুদ্ধেকর টি-টোয়েন্টির তুমুল লড়াইয়ে ইংলিশদের ৪ উইকেট আর ৭ বল হাতে রেখে হারালো টাইগাররা
চট্টগ্রামের মতো মিরপুরেও টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। হাতের তালুর মতো চেনা উইকেট পেয়ে ব্যাটার শামিম হোসেনের জায়গায় একাদশে নেন স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি মিরাজকে। ওই মিরাজই ব্যাটে-বলে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। তার বোলিং তোপে জস বাটলারের ইংল্যান্ড ইনিংসের শেষ বলে ১১৭ রান তুলে অলআউট হয়।
যদিও শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। ঠিক ৫০ রান তুলে হারিয়েছিল দ্বিতীয় উইকেট। এরপর মিরাজ ধাক্কা দেওয়া শুরু করেন। একে একে তুলে নেন মঈন আলী (১৫), স্যাম কারেন (১২) ও ক্রিস ওকস (শূন্য) ও ক্রিস জর্ডানকে (৩)। এর আগে ওপেনার ফিল সল্ট ২৫ রান করে সাকিবের বলে ফিরে যান। জস বাটলার (৪) বোল্ড হন হাসান মাহমুদের বলে। শেষ ওভারে আউট হওয়া বেন ডাকেট করেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ বলে ২৮ রান।
জবাব দিতে নেমে শুরু ভালো পায়নি বাংলাদেশ। দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার ৯ করে রান যোগ করে ফিরে যান। এরপর নাজমুল শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় ভরসা দেওয়া শুরু করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে অভিষেক হওয়া হৃদয় ১৭ রান করে ফিরলে ওই জুটি ভাঙে। পাঁচে মেহেদি মিরাজ নেমে ম্যাচ সহজ করে দেন। তিনি দুই ছক্কায় ২০ রান করে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।
মিরাজ ফেরার পর ম্যাচ কঠিন করে ফেলে বাংলাদেশ। সাকিব ক্রিজে এসে শূন্য করে ফিরে যান। পরেই আউট হন স্লগার খ্যাত আফিফ হোসেন। তিনি ২ রান যোগ করেন। কিছুটা শঙ্কায় পড়ে যাওয়া বাংলাদেশ দলকে তিনে নামা নাজমুল শান্ত ৪৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে জিতিয়ে ফেরেন। জয়ের বড় কৃতিত্ব অবশ্য ব্যাটিং করতে শেখা তাসকিনেও। তিনি পরপর দুই চার মেরে সাত বল থাকতে দেশকে সিরিজ জেতান।
