পাহাড়ে র্যাবের অভিযানে ২০ জঙ্গি-কেএনএফ সদস্য আটক


বান্দরবানের থানচির রেমাক্রীর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র ১৭ এবং পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি ও বিদেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম, উগ্রবাদী বই, কন্টেন্ট, লিফলেট, অস্ত্র কেনার উদ্দেশ্যে রাখা নগদ সাত লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বান্দরবান র্যাব কার্যালয়ে আটক ২০ জনকে প্রদর্শন করা হয়। পরে বান্দরবান জেলা পরিষদের হল রুমে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মইন।
আটক ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যরা হলো– আস সামী রহমান ওরফে সাদ(১৯), সোহেল মোল্লা ওরফে সাইফুল্লাহ (২২), আল আমিন ফকির (১৯), জহিরুল ইসলাম ওরফে ওমর ফারুক ওরফে সাংওয়াই (২৭), মিরাজ শিকদার ওরফে আশরাফ হোসেন ওরফে দোলন (২৬), রিয়াজ শেখ ওরফে জায়েদ(২৪), ওবায়দুল্লাহ ওরফে ওবায়দুল ওরফে সাকিব ওরফে শান্ত (২০), জুয়েল মাহমুদ ওরফে মাহমুদ (২৭), ইলিয়াস রহমান ওরফে তানজিল ওরফে সোহেল ওরফে থানবোয়াং (৩২), হাবিবুর রহমান ওরফে মোড়া (২৩), সাখাওয়াত হোসেইন(২১), আব্দুস সালাম রাকি(২৮), জোবায়ের আহমেদ (২৯), শামীম হোসেন (২৩), তাওয়াবুর রহমান সোহান (২০), মোহাম্মদ মাহমুদ ডাকুয়া (২০) ও মোহাম্মদ আবু হুরাইরা (২২)। আটক কেএনএ সদস্যরা হলো– লাল মোল সিয়াম, ফ্লাগ ক্রস ও মালসম পাংকুয়া।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মইন বলেন, ‘মঙ্গলবার ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মোট ১৭ জন জঙ্গি এবং ৩ জন কেএনএফ সদস্যকে আটক করা হয়। এ পর্যন্ত ৩৮ জন জঙ্গি এবং ১৪ জন কেএনএফ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে র্যাব অভিযানে গেলে বান্দরবানের থানচির রেমাক্রি ইউনিয়নের ২৭কিলো এলাকায় নতুন ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় জঙ্গি ও পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। পরে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির ঘটনায় র্যাবের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। পরে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন র্যাবের ডিজি এম খুরশীদ হোসেন।
জানা গেছে, সম্প্রতি উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয় ১৯ জেলার ৫৫ তরুণ। এ তাদের অনেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে নতুন করে কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে জামাতুল আনসারের হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয়। এসব আস্তানায় হিজরত করা তরুণদের ভারি অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয় ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামে একটি পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন। বিষয়টি জানার পর গত ১৭ অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে অভিযানে নামে র্যাব ও সেনাবাহিনী।
এইচকেআর
