বাউফলে কলেজ মাঠে ফার্নিচারের দোকান, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত


পটুয়াখালীর বাউফলের নুরাইনপুর কলেজ মাঠ দখল করে চলছে ফার্নিচারের ব্যবসা। গত দশদিন যাবৎ সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলেছে বেচাকেনা। ফলে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে কলেজের শিক্ষার্থী, স্থানীয় শিশু, কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলাও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নুরাইনপুর কলেজের সড়কের পাশে খেলার মাঠ দখল করে অস্থায়ী দোকান নির্মাণ করছেন মেহেদী হাসান নামে এক ব্যবসায়ী। দোকোনে কাঠের তৈরি খাট, শোকেস, আলমারি, খাবার টেবিলসহ বিভিন্ন মালামাল সাজিয়ে রাখা হয়েছে। চলেছে বেঁচা-বিক্রিও। মেহেদী হাসানের বাড়ি পিরোজপুরের সরূপকাঠী উপজেলায়। সেখান থেকে কাঠের তৈরি এসব আসবাবপত্র নিয়ে আসা হয়েছে।
তবে সরেজমিনে গিয়ে দোকানের মালিক মেহেদী হাসানকে পাওয়া যায়নি। বন্ধ রয়েছে তার মুঠোফোনও। তার প্রতিনিধি সুমন ব্যাপরী জানান, কলেজের সভাপতির অনুমতি নিয়ে তারা দোকান বসিয়েছেন। তবে কত টাকা ভাড়া দিতে হয় তা মালিক (মেহেদী) জানেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ টাকার বিনিময়ে মাঠে দোকান বসিয়েছেন। মাঠ দখল হয়ে যাওয়ায় আমরা খেলাধুলা করতে পারছি না। বিভিন্ন ধরনের লোক আসা-যাওয়া করায় শিক্ষা কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
তবে ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে কমিটির সভাপতি কাজী ইউনুচ আহমেদ বলেন, তারা অনুরোধ করেছে বলে সাময়িক সময়ের জন্য দোকান বসানোর অনুমতি দিয়েছি। কোনো টাকা-পয়সার লেনদেন হয়নি।
এ বিষয়ে নুরাইনপুর কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ করেননি।
বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কির্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-আমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, কলেজের খেলার মাঠ দখল করে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা ব্যবস্থা নেবো।
এইচকেআর
